Banking Licence: প্রায় এক দশক পরে দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের গতি বৃদ্ধির জন্য ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়, তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং আরবিআইয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরপরে ভারতে শীঘ্রই নতুন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স জারি করা হবে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এমন ধারণা করা হয়েছে।

নতুন ব্যাঙ্কের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে

প্রতিবেদন অনুসারে আগামী দশকগুলিতে দেশের উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন পরিকল্পনা পূরণের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে একটি হল আরও শক্তিশালী ব্যাঙ্কের পথ উন্মুক্ত করা। শেয়ার হোল্ডিংয়ের উপর বিধিনিষেধ সহ বড় বড় সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেওয়ার বিকল্পটিও বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্স সংস্থাগুলিকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় রূপান্তরিত করার জন্য আলোচনা চলছে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ-সুবিধে প্রদানের কথাও আলোচনা করা হচ্ছে।

কেন এর প্রয়োজন ছিল

এই বিষয়ে আরবিআই বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কোনও মন্তব্য এখনও আসেনি। তবে বাজারে এর প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। নিফটি পিএসইউ ব্যাঙ্ক সূচক যা প্রথম লেনদেনে ০.৮ শতাংশ কমেছিল তা বিকেলের লেনদেনে ০.৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই বছর এই সূচক বেড়েছে ৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য যে ২০১৪ সাল থেকে দেশে কোনও নতুন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স জারি করেনি কেন্দ্র সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০১৬ সালে অনেক শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যাঙ্কের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু এখন এটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যাঙ্ক খোলার অনুমতি দেওয়া একটি সংবেদনশীল এবং বড় সিদ্ধান্ত হবে।

সরকারের নীতির আওতায় ১ মে থেকে দেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৪৩ থেকে ২৮-এ নেমে আসবে। দেশের গ্রামীণ অংশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিকে উন্নত ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রক ১১টি রাজ্যে ১৫টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে জোড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ১১টি রাজ্য - অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গুজরাত, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও রাজস্থানে এখন শুধুমাত্র একটি RRB থাকবে। এইভাবে প্রতিটি রাজ্যের আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি তাদের মাধ্যমে শক্তিশালী হবে। 

উত্তরপ্রদেশে, বরোদা ইউপি ব্যাঙ্ক, আর্যাবত ব্যাঙ্ক এবং প্রথমা ইউপি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে মার্জ করে উত্তরপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক গঠন করা হবে। যার প্রধান কার্যালয় লখনউতে হবে। এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদা স্পনসর করবে এই মার্জিং।