নয়াদিল্লি: ভারতের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ক্ষেত্র। আর সেই পরিষেবা ক্ষেত্রেই গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফলের দেখা মিলল।
২০১০ সালের জুন মাস থেকে লাফিয়ে বেড়েছে এই খাতের বিক্রয়। বৃহস্পতিবার যে PMI তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই বলা হয়েছে এই পরিসংখ্যান।
সূচকেও প্রতিফলিত হয়েছে এই পরিসংখ্যান। S&P Global's India Service -এর তরফ থেকে এই সংক্রান্ত যে সূচক তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে অনেকটাই বেড়েছে এই সূচক।
পরিষেবা ক্ষেত্র আশা জাগালেও, জুলাই মাসে নির্মাণ ক্ষেত্রে PMI কমেছে। যদিও সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা ক্ষেত্রে চড়চড়িয়ে উন্নতির কারণে সামগ্রিক ভাবে S&P Global India Composite PMI আউটপুট সূচক গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
ভারতের অর্থনৈতিক প্রগতির জন্য পরিষেবা ক্ষেত্র অত্যন্ত জরুরি। জুলাই মাসে PMI-দেখে বোঝা যাচ্ছে যে দ্বিতীয় আর্থিক ত্রৈমাসিকে জিডিপিতে এই পরিষেবা ক্ষেত্রের অবদান কতটা বড়, এমনটাই মত S&P Global Market-এর এক কর্তার।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাজারের চাহিদাও শক্তিশালী ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা থাকায় তা এই ক্ষেত্রটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২২ সালের জুন থেকে অপারেটিং খরচ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সংস্থাগুলি সেই খরচের কিছুটা গ্রাহকদের উপরেই চাপিয়েছে। যদিও প্রাইসিং স্ট্যাটেজি বা মূল্য নির্ধারণ কৌশল নিয়ে সতর্ক ছিল সংস্থাগুলি। S&P Global Market-এর বিশেষজ্ঞদের মতে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে PMI মূল্য সূচক দেখলে মনে হয় যে কিছুক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ভারতীয় পরিষেবার বাজারকে বেশি সুবিধা দিয়েছে এবং এখানে output price-এর বৃদ্ধির অন্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম।
চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনই তার সঙ্গে নতুন বরাতও মিলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জোয়ার আসায় তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্রে। সেই কারণেই এই ক্ষেত্রে একটা গতি এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য় প্রাইমারি, সেকেন্ডারি এবং টার্সিয়ারি- মূলত এই তিন ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র থাকে। ভারতের ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি অর্থাৎ ম্যানুফ্যাকচারিং বা নির্মাণ শিল্পক্ষেত্রটিকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে প্রাইমারি এবং টার্সিয়ারি। প্রাইমারি সেক্টর আদতে কৃষিকাজ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। টার্সিয়ারি সেক্টর পরিষেবা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড। তুলনামূলক সস্তার শ্রম এবং মেধার কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত থেকে পরিষেবা কেনার চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।