কলকাতা: ফের বেকারত্বের আঁচ। সারা দেশে আরও বাড়ল বেকারত্বের হার। ডিসেম্বরে সারা দেশের বেকারত্বের হার ৮.৩০ শতাংশ। গত ১৬ মাসে যা সর্বোচ্চ। গত মাসেই এই হার ছিল ৮ শতাংশ। এমনই আশঙ্কাজনক ছবি উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (Centre for Monitoring Indian Economy)-এর  রিপোর্টে। 


কী বলছে রিপোর্ট:
CMIE-এর নতুন রিপোর্ট বলছে আগের মাসের তুলনায় শহর এলাকায় বেকারত্ব বেড়েছে। গত মাসে যা ছিল ৮.৯৬ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১০.০৯ শতাংশ। যদিও গ্রামীন ক্ষেত্রে বেকারত্বের আঁচ কমেছে। গত মাসে যা ছিল ৭.৫৫ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪৪ শতাংশ। 


CMIE-এর ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস বলেছেন, 'বেকারত্বের বৃদ্ধি যতটা খারাপ মনে হচ্ছে ততটা নয়।' কারণ শ্রমে অংশগ্রহণের হারেও বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ডিসেম্বরে সেই হার ৪০.৪৮ শতাংশ। যা গত ১২ মাসে সর্বোচ্চ।


সামনের বছরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং তরুণদের কাজের সুযোগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের কাজ। উল্টোদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি সামনে রেখেই ভারত জোড়ো যাত্রা করছে। সম্প্রতি রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্য থেকে বেরিয়ে উৎপাদন, চাকরি বৃদ্ধি, রফতানি বৃদ্ধি-এখন দেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত। 


জুলাইতেই কমেছিল:
National Statistical Office-থেকে ত্রৈমাসিকের যে তথ্য প্রকাশ করা হয় তাতে দেখা গিয়েছিল জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে বেকারত্বের হার কমেছিল। দাঁড়িয়েছিল ৭.২ শতাংশে। যা আগের ত্রৈমাসিকের থেকে কমেছিল।  


কোথায় কেমন বেকারত্ব:
CMIE-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে হরিয়ানাতে বেকারত্ব ৩৭.৪ শতাংশ। রাজস্থানে ২৮.৫ শতাংশ এভং দিল্লিতে ২০.৮ শতাংশ।       

মুম্বইয়ে সদর দফতর CMIE-এর। এই সংস্থা যা তথ্য় প্রকাশ করে তা সবসময়েই নজরে থাকে অর্থনীতিবিদ, আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং দেশের নীতি-নির্ধারকদের (Policymakers)। কারণ সরকারের তরফে মাসে-মাসে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয় না। সেন্টার ফল মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি  বা CMIE (Centre for Monitoring Indian Economy) এটি ব্যবসা-আর্থিক বিশ্লেষণকারী সংস্থা (Business information company)। ১৯৭৬ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাইমারি ডেটা কালেকশন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য় সংগ্রহ করা এবং তা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সূচকের ওঠানামা মাপার কাজ করা হয় এই সংস্থার তরফে।  


আরও পড়ুন; 'নোটবন্দি বিজ্ঞপ্তিতে কোনও ত্রুটি নেই' মোদি সরকারকে স্বস্তি দিয়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট