নয়াদিল্লি: নতুন করে সঙ্কট দেখা দিয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। দামাস্কাসে আক্রমণের পাল্টা ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এই ঘটনার জেরে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন তেতে উঠছে, তেমনই বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সেই আবহেই আবারও রেকর্ট পতন টাকার দামে। মঙ্গলবার বাজার খোলার পর ডলার প্রতি টাকার দাম আরও ৯ পয়সা পড়ল। এই মুহূর্তে ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দর ৮৩ টাকা ৫৩ পয়সা। (Rupee vs Dollar)


মঙ্গলবার রেকর্ড পতন হল টাকার দরে। ইন্টারব্যাঙ্ক ফরেন এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, এদিন সকালে ৮৩ টাকা ৫১ পয়সা দর ছিল ভারতীয় মুদ্রার। কিন্তু বাজার চালুর কিছু ক্ষণ পরই তা ৮৩ টাকা ৫৩ পয়সায় পৌঁছে যায়। ৯ পয়সার পতন হয়। সোমবার বাজার বন্ধের সময় দর ছিল ৮৩ টাকা ৪৫ পয়সা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে বিনিয়োগকারীদের। (Iran-Israel Conflict)


এর আগে, সোমবার টাকার দরে ৬ পয়সার পতন ঘটে। ডলার প্রতি দাম হয় ৮৩ টাকা ৪৪ পয়সা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লাগাতার আমেরিকান ডলার কিনে চলেছেন যেমন, তেমনই অনেকে স্টক বিক্রি করে দিচ্ছেন, তার জেরেই টাকার দরে এই পতন বলে মত Finrex Treasury Advisors LLP-র হেড অফ ট্রেজারি অ্যান্ড এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অনিলকুমার ভনসালী। টাকার দামে এই পতন আটকাতে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক কী ভূমিকা পালন করে, সেদিকে সকলে তাকিয়ে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Jio Business: এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে জিও, নতুন কোন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আম্বানির ?


এই মুহূর্তে ভারতীয় মুদ্রার দর যেমন পড়ছে, সেই নিরিখে তর তর করে র বেড়ে চলেছে আমেরিকান ডলারের। মঙ্গলবার প্রতি টাকায় ডলারের মূল্য় ০.১৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে প্রতি টাকায় ডলারের মূল্য ১০৬.৩৪ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাজারে তরতরিয়ে বাড়ছে তেলের দামও। এই মুহূর্তে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ৯০.৫৮ ডলার। 


এমন পরিস্থিতিতে সোমবারই ৩ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার শেয়ার বেচে দিয়েছে Foreign Institutional Investors (FIIs). তবে হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। মার্চ মাসে দেশের খপচরো মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ০.৫৩ শতাংশ হয়, তার আগের ত্রৈমাসিকেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ০.২০ শতাংশ। শাক-সবজি, আলু, পেয়াঁজ, তেলের দাম আকাশছোঁয়া। সেই আবহে টাকার দামে এই রেকর্ড পতনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। 


এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে আশা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই নিয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে কথাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। RBI-এর হস্তক্ষেপ না ঘটলে, টাকার দারে আরও পতন ঘটত বলে জানিয়েছেন Mecklai Financial-এর বাইস প্রেসিডেন্ট কুণাল কুরানি।