কলকাতা: ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট (Calcutta High court)। অন্তঃসত্ত্বার (Pregnant) সম্মতি নিয়েই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। নিয়ম অনুযায়ী ২৪ সপ্তাহের পর গর্ভপাতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তবে এই ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর থেকেই বাড়তে থাকে তরুণীর শারীরিক সমস্যা। আরও অবনতি হতে পারে অন্তঃসত্ত্বার, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরাই গর্ভপাতের পরামর্শ দেন। এর পরই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বলে দাবি দম্পতির। তাঁরা গর্ভপাতের ঝুঁকি নিতে রাজি কিনা জানতে চান বিচারপতি। অন্তঃসত্ত্বা সম্মতি দেওয়ার পরই নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে গর্ভপাতের সময়ে কিছু হলে কাউকে দায়ী করতে পারবে না দম্পতি, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
উল্লেখ্য, ২০২০-তেই বেড়েছিল গর্ভপাত করানোর সময়ের ঊর্ধ্বসীমা। এর আগে পর্যন্ত গর্ভধারণের ৫ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ২০ সপ্তাহের মধ্যেই প্রয়োজনে গর্ভপাত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন মহিলারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বুধবার পাস হল মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধনী) বিল,২০২০। সংশোধিত বিল আইনে পরিণত হয়। এর নিয়মে গর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহ অবধি প্রয়োজনে গর্ভপাত করানো যেতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন মহিলাদের একাংশ ও অনেক চিকিৎসক।
এতদিন পর্যন্ত শারীরিক বা অন্য কোনও প্রয়োজনে আইনসম্মতভাবে গর্ভপাত করাতে পারতেন। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে কোনওভাবেই আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত না। কোনও কোনও সময় প্রয়োজন হলেও আইনের জালে আটকে যেতেন চিকিৎসকরা। ২০১৪ সাল থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি সদস্য দল এর দায়িত্বে ছিলেন। জানান, জাভরেকর।