কলকাতা: দলের শৃঙ্খলারক্ষায় কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘দলের নির্দেশ অমান্যকারী নির্দলদের সরতে হবে প্রার্থী পদ থেকে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থী পদ থেকে সরতে হবে তাঁদের। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে নামতে হবে ভোটের ময়দানে।’ এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের (TMC) শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে। নির্দেশ অমান্য করলে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার। এই নির্দেশই যাচ্ছে জেলায় জেলায়।
তবে বহিষ্কারের নির্দেশের পরই সুর নরম করল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা। ‘নির্বাচনে লড়বেন না, জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ২৮ নির্দল। উত্তর ২৪ পরগনার ২৫ পুরসভায় ৫৭ জন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল। ৫৭ জনের মধ্যে ২৮ জন বিক্ষুব্ধর ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত বলে দাবি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের।
জেলায় জেলায় পুরভোটের প্রার্থী তালিকা পাঠানোর পরই এবার বিজেপির (BJP) অন্দরেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। টিকিট না পেয়ে খড়গপুর (Kharagpur) পুরভোটে (Municipal Election 2022) বিজেপির আহ্বায়ক তুষার মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপির বিক্ষুব্ধ একদল কর্মী সমর্থক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে থাকা গাড়ির কাচ। জানলার কাচও ভাঙা হয়। খবর পেয়ে গতকাল রাতেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তুষার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ঘটনার কথা দিলীপ ঘোষকে জানানো হয়েছে। হামলার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ছাড়াই, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বঙ্গ বিজেপি। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে, জঙ্গিপুর পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ। এরপরই পার্টি অফিসে ক্ষোভ ফেটে পড়েন নেতা-কর্মীদের একাংশ। নেতার সামনেই ভাঙচুর করা হয় চেয়ার ও অন্যান্য জিনিসপত্র। সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে কোনওরকমে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা।