নয়াদিল্লি: সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাকরণের ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। তিনি জানিয়েছেন, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে টিকাকরণে জোর দিতে চলেছে কেন্দ্র। ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকাকরণে প্রাধান্য দেওয়া হবে। (Interim Budget 2024) সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত।
বুধবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতে গিয়ে এই ঘোষণা করেন নির্মলা। তিনি বলেন, "সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করবে আমাদের সরকার।" (Nirmala Sitharaman) তবে কোন পদ্ধতিতে হবে টিকাকরণ, কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে, এখনও পর্যন্ত বিশদ তথ্য খোলসা করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
জরায়ুর মুখের ক্যান্সারকে বলা হয় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার। এক্ষেত্রে জরায়ুর আস্তরণে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ভারতে তৈরি প্রথম চতুর্যোজী টিকা হল, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (qHPV) সার্ভাভ্যাক ভ্যাকসিন। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-কে ওই টিকা বাজারে ছাড়ার অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। একদিন আগেই পুণে পৌরসভার তরফে স্কুলে গিয়ে মেয়েদের টিকাকরণের ঘোষণা করা হয়। তার পর সংসদে সার্বিক টিকাকরণের কথা বললেন নির্মলা। (Cervical Cancer Vaccine)
আরও পড়ুন: Interim Budget 2024: আয়করে কি কোনও পরিবর্তন আনল কেন্দ্র ?
স্তন, ফুসফুস এবং মলাশয়ের ক্যান্সারের পর, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই সবচেয়ে বেশি মহিলা রোগী মারা যান। কিন্তু সার্ভিক্য়াল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে স্ক্রিনিং করানোয় ভারত অনেক পিছিয়ে। ভারতের মহিলাদের মাত্র ১ শতাংশই এই স্ক্রিনিং করিয়েছেন বলে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে উঠে আসে। তারা জানায়, দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে, ৭০ শতাংশ মহিলার সার্ভিক্যাল ক্যান্সার পরীক্ষা করানো উচিত। কিন্তু বাস্তবে এই লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে ভারত।
WHO-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে মোটামুটি সচেতনতা রয়েছে। তামিলনাড়ুতে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়েছেন এমন মহিলার হার ৭ শতাংশ। কেরল, মিজোরাম, মণিপুর এবং মহারাষ্ট্রে ১ শতাংশ মহিলা এই পরীক্ষা করিয়েছেন। যে কোনও ধরনের ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন মহিলার হার মাত্র ০.১ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। গুজরাতে এই হার ০.২ শতাংশ। তবে কোনও রাজ্যেই এই হার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি।