Income Tax: হাতে রয়েছে আর দু'দিন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে সমস্যায় পড়বেন আপনি। সেই ক্ষেত্রে বড় জরিমানার সঙ্গে বাড়বে চিন্তা। ইতিমধ্যেই CBDT ও আয়কর বিভাগ ২০২২-২৩ সালের আয়কর জমা দেওয়ার সীমা বাড়ানোর কথা অস্বীকার করেছে।
ITR Filing: কী বলেছে আয়কর বিভাগ ?
আয়কর বিভাগ তার টুইটার হ্যান্ডেলে বলেছে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কর জমা দিতে হবে। এই সময়সীমা বাড়ানো হবে না। পরিসংখ্যান দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৩.৪ কোটিরও বেশি ITR ফাইল হয়েছে। কেবল ২৬ জুলাইতেই প্রায় ৩০ লক্ষ ITR ফাইল করা হয়েছে৷ লেট ফির থেকে বাঁচতে এখনই আইটি রিটার্ন ফাইল করতে বলছে ডিপার্টমেন্ট।
আপনি যদি আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা মিস করেন তবে কী হবে ?
Income Tax: দেরি হলে জরিমানা
যে করদাতারা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের আইটি রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না, তাদের জরিমানা বাবদ একটি ফি দিতে হবে। দেরিতে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করলে আয়কর আইনের ধারা 234F এর অধীনে একটি ফি দিতে হয়। দেরির মাত্রার উপর নির্ভর করে পরে জরিমানা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ITR Filing: কত টাকা জরিমানা ?
আয়কর আইনের ধারা 234F অনুসারে, ৩১ জুলাইয়ের পরে ITR ফাইল করলে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ৫ লক্ষ টাকার কম মোট আয়ের করদাতাদের জন্য জরিমানার পরিমাণ হল ১০০০ টাকা। তবে যারা আয়কর স্ল্যাবের মধ্য়ে পড়ছেন না তাদের কোনও জরিমানা দিতে হবে না।
Income Tax: করের ওপর লাগবে সুদ
যদি কেউ ৩১ জুলাই এর পরে আয়কর প্রদান করেন, সেই ক্ষেত্রে তার বকেয়া করের ওপর প্রতি দিনের সুদ নেওয়া হবে। কোনও ব্যক্তির আয়কর জমার বিষয়টি ভুলভাবে দাখিল হলেও নেওয়া হবে এই চার্জ। প্রতিদিন করের ওপর ১ শতাংশ করে জরিমানা ধার্য করবে আয়কর বিভাগ। মনে রাখবেন, যেকোনও মাসের ৫ তারিখের পর কেউ এই অর্থ জমা করলে তাকে পুরো মাসের সুদের পরিমাণ গুণতে হবে।
ITR Filing: ফরওয়ার্ড লস বহন করার কোনও বিকল্প নেই
যদি একজন করদাতা ৩১ জুলাই আইটিআর ফাইল করার সময়সীমা মিস করেন, তবে জরিমানা ছাড়াও অন্যান্য সুবিধাগুলিও তিনি পাবেন না। এর মধ্যে 'ক্যাপিটাল গেইনস' বিকল্পের মাধ্যমে ব্যবসার ক্ষতি সামনের বছরে দেখাতে পারবেন না তিনি।আইটিআর দাখিল করা হলে, সরকার পরবর্তী বছরগুলিতে এই হিসেব 'ক্যারি ফরোয়ার্ড' করার অনুমতি দেবে।