নয়াদিল্লি: স্টিভ জবস তখন মৃত্যুশয্যায়। সেই সময় সংস্থার দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন টিম কুক। নয় নয় করে তার পর ১৩ বছর কেটে গিয়েছিলে। এবার মালিকানা বদল হতে চলেছে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থা Apple-এর। এবছর নভেম্বর মাসে ৬৪-তে পা রাখছেন টিম। অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই Apple-এর পরবর্তী CEO কে হবেন, সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই আবহেই জন টার্নাসের নাম সামনে এল। তিনিই Apple-এ টিমের উত্তরাসূরি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে খবর। (Apple Next CEO)
বর্তমানে Apple-এর হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জন। সরাসরি টিমকেই রিপোর্ট করেন তিনি। বিগত ২৩ বছর ধরেই Apple-এ কর্মরত জন। Apple-এর জনপ্রিয় সৃষ্টি iPhone, iPad, AirPods, এই সমস্ত কিছুর নেপথ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ ককে Mac-এর Apple Silicon-এ রূপান্তর ঘটেছে তাঁর হাতেই। (John Ternus) Mac, Apple TV, HomePod-এর ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকেও নেতৃত্ব দেন জন। ২০২১ সালে iMac-ও বাজারে আসে জনের হাত ধরেই। MacBook Pro-ও সকলের সমান আনেন জন।
Apple-এ যোগদানের আগে ভার্চুয়াল রিসার্চ সিস্টেমস-এ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন জন। ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভ্যানিয়া থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। ২০০১ সালে প্রডাক্ট ডিজাইন টিমের সদস্য হিসেবে Apple-এ কাজের সুযোগ পান জন। এর পর যত সময় গিয়েছে, সকলের অগোচরে একটি করে ধাপ পেরিয়েছেন তিনি। আজ একেবারে Apple-এর কর্ণধার হওয়ার দৌড়ে পৌঁছে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: India-China Trade Relations: আমেরিকাকে হারিয়ে আবারও শীর্ষে, চিনই ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী দেশ
২০২০ সালে iPhone হার্ডওয়্যারের পূর্ণ দায়িত্ব পান জন। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন। ২০২২ সালে Apple Watch-এর হার্ডওয়্যারেরও দায়িত্ব পান। Apple-এর এগজিকিউটিভ টিমের কনিষ্ঠতম সদস্য জন। সহকর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় তিনি।
এই মুহূর্তে টিমের উত্তরসূরি হিসেবে দৌড়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন জন। যদিও এর আগে জেমস উইলিয়ামসকে নিয়েও বাজি ধরেছিলেন অনেকে। জেমস Apple-এর চিফ অপারেশন্স অফিসার। কিন্তু জেমসের বয়স ইতিমধ্যেই ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। অন্তত এক দশক সংস্থার রাশ সামলাতে পারেন এমন কাউকে চাইছিলেন বোর্ডের সদস্যরা। ফলে জেমসকে পিছনে ফেলে পছন্দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে উঠে এসেছেন জন।