LIC Policy: একটা-দুটো নয় ; বলিউড অভিনেত্রী (Bollywood Actress) কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) রয়েছে ৫০টি এলআইসি পলিসি (LIC Policy)। সম্প্রতি বিজেপির (BJP) টিকিটে লোকসভায় মনোনয়োন (Loksabha Election) দাখিলের সময় এই তথ্য় জমা দিয়েছেন খোদ 'কুইন অফ বলিউড'। যা দেখে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিচিত্র সব মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। 'অতি সুরক্ষিত' অভিনেত্রীকে নিয়ে কী বলছে দেশবাসী ?
কোথা থেকে নির্বাচনে লড়ছেন কঙ্গনা ?
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের সম্পদের তথ্য জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। কঙ্গনার সম্পদ খাতা বলছে, বিলাসবহুল গাড়ি, বাড়ি, সোনা-রূপা ও নগদ অর্থের পাশাপাশি ৫০টি এলআইসি পলিসি রয়েছে তাঁর। সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, একদিনে এই সব পলিসি কিনেছেন কঙ্গনা। এই সব এলআইসি পলিসির পরিমাণ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে।
২০০৮ সালের ৫ জুন একদিনে ৫০টি এলআইসি পলিসি
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, কঙ্গনা রানাওয়াত ৯০.৬৬ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক। তার 28.73 কোটি টাকার স্থাবর ও 62.92 কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও অভিনেত্রীর 17.38 কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। কঙ্গনা 4 জুন, 2008-এ 50টি এলআইসি পলিসি কিনেছিলেন। তিনি শেয়ারেও বিনিয়োগ করেন।
সোনা-দানা, গাড়ি-বাড়ি আরও কী আছে ?
এর বাইরে 5 কোটি টাকা মূল্যের 6.700 কেজি সোনার গয়না, 50 কেজি রুপো, প্রায় 3 কোটি টাকা মূল্যের হীরার গয়না রয়েছে তাঁর। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় 23.98 কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে কঙ্গনার। তার মানালির বাড়ির দাম 4.97 কোটি টাকা। কঙ্গনার কাছে ৩টি মার্সিডিজ মেব্যাক গাড়ি রয়েছে।
কঙ্গনার পলিসি নিয়ে হতবাক সোশ্যাল মিডিয়া
সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউতের এত সম্পদের মধ্যে তাঁর এলআইসি পলিসি নিয়েই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। X-এ একজন লিখেছেন যে কঙ্গনার এলআইসি এজেন্ট অবশ্যই ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন। অন্য একজন নেটিজেন অবশ্য কঙ্গনার ৫০টি এলআইসি পলিসিকে অভিনেত্রীর দুর্বল আর্থিক পরিকল্পনার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানিংয়ে দুর্বল হলেই এরকম 50টি পলিসি নিতে পারেন। এখানেই থেমে থাকেনি নেটিজেনদের রঙ্গ-ব্যাঙ্গ। একজন লিখেছেন, এলআইসির উচিত এই কাজের জন্য কঙ্গনাকে কোম্পানির মেন সেলস এজেন্ট করা।