How To Take Loan: সবার জীবনেই কোনও না কোনও সময় এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। অনেকেই নতুন ব্যবসা শুরু করতে বা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নেন। তবে চাকরি হারানো, ব্যবসায় ক্ষতি বা অসুস্থতার মতো পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যা দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধ না করলে ঋণগ্রহীতার ওপর সুদ ও জরিমানা বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষেত্রে মানুষ লোন সেটলমেন্টের পথে হাঁটে। আপাতত স্বস্তি পাওয়া গেলেও পরে যার ফল খারাপ হয়।
কী বলেছে অর্থ মন্ত্রক
সম্প্রতি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিকে ২০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে ঋণ খেলাপিদের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে এককালীন নিষ্পত্তি বা লোন সেটলমেন্টের নির্দেশ দিয়েছে। যাতে ছোট বকেয়া ঋণ নিষ্পত্তি করা যায়। ব্যাঙ্কগুলি অনেক ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাকে ঋণ নিষ্পত্তির বিকল্প পথও বলে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতারা নিজেরাই এর জন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে ঋণ মিটিয়ে নিতে চান। উভয় ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত ঋণগ্রহীতাকেই ক্ষতি বহন করতে হয়।
এসব ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অফার দেয়
কোনও ব্যক্তি ৯০ দিনের বেশি অর্থাৎ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে ঋণের কিস্তি (EMI)শোধ না করলে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাকে EMI না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। ব্যাঙ্ক বা ফাইনান্স কোম্পানিগুলি এরপর ওই ব্যক্তির দাবির বিষয়ে যাচাই করে। পরে ওই ব্যক্তি ঋণ শোধে একান্তই অক্ষম হলে তাকে লোন সেটলমেন্ট বা নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এই ভাবেই লোন সেটলমেন্ট হয়
এককালীন ঋণ নিষ্পত্তিতে একবার টাকা ও মূল পরিমাণ জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক সুদ, জরিমানা বা আইনি খরচ মওকুফ করে। ঋণগ্রহীতার টাকা পরিশোধের ক্ষমতা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিষ্পত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। নিষ্পত্তির পরিমাণ পরিশোধ করার পর, ব্যাঙ্ক মোট বকেয়া পরিমাণ এবং নিষ্পত্তির পরিমাণের মধ্যে পার্থক্য লিখে ঋণ বন্ধ করে দেয়।
ক্রেডিট স্কোর খারাপ হবে
এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে এর খারাপ ফল হয়। প্রকৃতপক্ষে, লোন অ্যাকাউন্টের স্ট্যাটাস লোন বন্ধ করার সময় 'ক্লোজড' এর পরিবর্তে 'সেটেলড' দেখায়। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে ঋণ বন্ধ হয়ে গেলে ঋণ অ্যাকাউন্টের 'ক্লোজড' অবস্থা দেখায়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই তথ্য ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিতে যায়। নিষ্পত্তি করা অ্যাকাউন্ট সাধারণত বন্ধ অ্যাকাউন্ট নয়, তাই এটি নেতিবাচক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই ক্ষেত্রে, ক্রেডিট স্কোর একটি খারাপ প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তী কয়েক বছর ধরে আপনাকে ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড পেতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
প্রথমে এই বিকল্পগুলি চেষ্টা করুন
এককালীন ঋণ নিষ্পত্তি শেষ বিকল্প হওয়া উচিত। এর বাইরেও কিছু উপায় আছে, যার সাহায্যে আপনি ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। আপনার যদি কোনও সঞ্চয় বা বিনিয়োগ থাকেন, তাহলে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে তা ব্যবহার করুন। আত্মীয় বা বন্ধুদের কাছ থেকে সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে ব্যাঙ্কের বকেয়া পরিশোধ করার চেষ্টা করুন। ঋণ পুনর্গঠনের জন্য ঋণদাতা অর্থাৎ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলুন, যাতে আপনি সহজেই সম্পূর্ণ অর্থ শোধ করতে পারেন। এককালীন নিষ্পত্তির পরিবর্তে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ককে আরও কিছু গ্রেস পিরিয়ডের জন্য বলুন।
আরও পড়ুন : Rajinder Gupta: ৩০ টাকা দিয়ে ১৭ হাজার কোটির সাম্রাজ্য, ইনি পঞ্জাবের ধীরুভাই অম্বানি