নয়াদিল্লি: দিল্লির বুকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। একটি কোচিং সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় সেখানে বহু পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার পরে সেখানে আগুন লাগে। ওই বহুতল কোচিং সেন্টারটি নয়াদিল্লির মুখার্জিনগরে। প্রাণ বাঁচাতে দড়ি বেয়ে পড়ুয়ারা নামলেন উপর থেকে। দমকলের ৭টি গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ।
দিল্লির মুখার্জি নগরে অবস্থিত কোচিং ইনস্টিটিউটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার একদিন পরেও এই দুর্ঘটনার ভয়াবহ দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে পড়ুয়াদের। তাঁরা কার্যত- প্রায় সকলেই আতঙ্কে রয়েছেন। এক পড়ুয়া ব্রিজেশ কুমার (২২) বিহারের বাসিন্দা। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে এসেছিলেন, তিনি এখন আতঙ্কে রয়েছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ব্রিজেশ বলেন, 'আমি ফেব্রুয়ারিতে বিহার থেকে এখানে এসেছি। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমি ক্লাসে ছিলাম। আমার সাইনাসের সমস্যা আছে এবং ধোঁয়ার কারণে আমি ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি মুখ ঢেকে একটা চেয়ারে বসেছিলাম। তারপরে আগুনের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে ছাদে যাই।' ১৫ জুন যে পাঁচতলা ভবনে আগুন লেগেছিল সেখানে প্রায় ৩০০-৩৫০ জন ক্লাস করছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ব্রিজেশ একজন। তিনি বলেন, আমার বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে ফোন করেছিল। আমি ওদের বললাম আমি ভাল আছি। কিন্তু আমি আসলে কাঁপছিলাম সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।'
মুখার্জি নগরে অবস্থিত কোচিং ইনস্টিটিউটগুলি শুক্রবার বন্ধ ছিল। ইনস্টিটিউটগুলির সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে প্রচারিত একটি বার্তায়, শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইনস্টিটিউটগুলি বন্ধ থাকবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মুখার্জি নগর সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া কোচিং ইনস্টিটিউটগুলির কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত।
দিল্লি হাইকোর্ট, মুখার্জি নগর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল। দিল্লি ফায়ার সার্ভিস, দিল্লি পুলিশ এবং এমসিডিকে নোটিশ জারি করেছে৷ আদালত দিল্লি ফায়ার সার্ভিসকে ফায়ার সেফটি অডিট করার এবং ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কতবার দুধ ফোটান? পদ্ধতি কি ঠিক? পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে না তো?