Mango Prices Crash: এই নিয়ে পরপর তিন দফায় দাম কমল আমের। উত্তরপ্রদেশে দাম কমেছে ব্যাপকভাবে, তবে দেশের অন্যত্রও আমের দামে ব্যাপক পতন দেখা গিয়েছে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি আমের ফলন হয় উত্তরপ্রদেশে। আর এই রাজ্যে আমের দামে ব্যাপক পতনের মূল কারণ হল বর্ধিত সরবরাহ। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গিয়েছে এই বছর ব্যাপক হারে ফলন হয়েছে আমের। আর এর জেরে জনপ্রিয় দশেরা আমের দাম যেখানে গত বছর কেজিতে ছিল ৬০ টাকা, তা কমে এসেছে ৪০-৪৫ টাকায়।

সংবাদমাধ্যমকে ম্যাঙ্গো গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এস ইনস্রাম আলি জানিয়েছেন যে এই বছর উত্তরপ্রদেশে আমের ফলন গত বছরের ২৫ লক্ষ মেট্রিক টনের থেকে অনেক বেড়ে হয়েছে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এই বছর ১০০ শতাংশ আমগাছেই মুকুল থেকে ফল হয়েছে, নষ্ট একেবারেই হয়নি আর তা উৎপাদনের দিক থেকে বেশ ভাল ইঙ্গিত দিয়েছিল আগেই। তিনি আরও জানান যে এই দাম কমে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত মাত্রায় ফলন, তবে অন্য কারণ হল চাষিরা আগাম বর্ষার হাত থেকে বাঁচাতে আগে থেকে সমস্ত ফল তুলে নিয়েছিলেন। আবহাওয়াবিদদের থেকে পাওয়া আগাম বর্ষার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন সমস্ত চাষিরা। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে গত বছরের তুলনায় এই বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই মেয়াদে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ফলে আগামী দিনগুলিতেও যে এই দাম খুব একটা বাড়বে তা নয়।

দক্ষিণ ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি এবং চিত্তুর জেলায় উৎপাদিত তোতাপুরি আমের দামও প্রবল হারে কমে গিয়েছে। আমের পাল্প প্রস্তুতকারকরা এখনও কৃষকদের কাছ থেকে আম কেনেনি। আর সেই অঞ্চলের কৃষকরাও বর্ষার আঁচ পেয়ে আগে থেকে সমস্ত আম তুলে নিয়েছিলেন। তিরুপতির এক আম ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে গত বছরের আমের স্টক এখনও রয়ে যাওয়ায় কারখানাগুলি আমের পাল্পের জন্য এখনও কৃষকদের থেকে আম কেনেনি।

আম উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও উচ্চমানের আমের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী আমের উৎপাদন পৌঁছেছিল ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারত। বিশ্বের মোট সরবরাহের অর্ধেকই এসেছিল ভারত থেকে। আর ভারতের পরে এই তালিকায় ছিল চিন ও ইন্দোনেশিয়া যেখান থেকে যথাক্রমে ৩.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন ও ৩.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমের সরবরাহ করা হয়েছিল। আর ভারতের সামগ্রিক আম উৎপাদনের ২০ শতাংশ আসে উত্তরপ্রদেশ থেকে।