Manmohan Singh Death: ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দিল্লির এইমসের আপদকালীন বিভাগে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরপর দুইবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মনমোহন সিং (Manmohan Singh Death), এছাড়াও একবার ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তাঁর আমলে দেশের জিডিপি, মুদ্রাস্ফীতির হার, আর্থিক ঘাটতি এমনকী বৈদেশিক ঋণ কেমন ছিল ? আর এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বা দেশের এই আর্থিক পরিকাঠামোগুলির অবস্থা কেমন রয়েছে ? ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব এবং ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রিত্বকালীন সময়ে কীভাবে বদলেছে দেশের অর্থনৈতিক চেহারা ?
জিডিপি হার
মনমোহন সিং সরকারের আমলে গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ, মোদি সরকারের আমলে (২০১৪-২০২২) গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.২৫ শতাংশ। আর কোভিড মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার পরে এই জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬.৮৪ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি
মনমোহন সরকারের সময়কালে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার যেখানে ছিল ৭.৫ শতাংশ, সেখানে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে গড় ৫ শতাংশ।
রাজস্ব ঘাটতি
UPA সরকারের শাসনকালে গড় রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৪.৩ শতাংশ এবং এই রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করে মোদি সরকার। সেই হার এসে দাঁড়ায় ৩.৭ শতাংশে। এমনকী মনমোহন আমলের থেকে মোদি-জমানাতে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট (CAD)-ও স্থিতিশীল হয়েছে।
বৈদেশিক ঋণ
২০১৪ সালের মার্চ মাসে ভারতের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৪০.৬ বিলিয়ন ডলার। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাণিজ্যিক সরলতার সূচক
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাণিজ্যিক সরলতার সূচকে দেশের স্থান ১৩২ থেকে নেমে এসেছিল ১৩৪ অঙ্কে। তা মোদি জমানায় অনেক উন্নত হয়েছে। নানারকম ব্যবসায়িক সংস্কার, ডিজিটাইজেশনের ফলে দেশের স্থান এই সূচকে পৌঁছে গিয়েছে ৬৩ অঙ্কে।
বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার
২০১৪ সালে মনমোহন সরকারের শেষ দিকে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার ছিল ৩০৪.২ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৩ সালে মোদি সরকারের আমলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯৫.৯৮ বিলিয়ন ডলারে।
আরও পড়ুন: Manmohan Singh Passes Away : 'মৌনমোহন' বলায় এই উত্তর দিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ