নয়াদিল্লি: ডিলাররা চাইলেও ক্রেতাদের ছাড় দিতে দেয়নি মারুতি। সুযোগ থাকতেও বেশি দামে গাড়ি কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। সম্প্রতি দেশের বৃহত্তম কার প্রস্তুতকারক কোম্পানির বিরুদ্ধে এমনই দাবি করেছে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)। সেই কারণে মারুতি -সুজুকির বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার জরিমানা করেছে এই বডি।


সিসিআই-এর নজরে মারুতি (Maruti-Suzuki on CCI probe)
২০১৯ সাল থেকে মারুতির এই ডিলার পলিসির ওপর নজর রেখেছিল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)। কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের এই জনপ্রিয় কোম্পানির লেনদেনের তদন্ত শুরু করে সিসিআই। সম্প্রতি মারুতির এই কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। যেখানে বলা হয়েছে, ক্রেতাদের আরও কমে গাড়ি কিনতে দেয়নি মারুতি। ডিলারদের হাতে ছাড় দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তাদের অপারেট করতে দেওয়া হয়নি।


কাঠগড়ায় মারুতির ডিলারশিপ নীতি(Maruti's Dealer Discount Policy)
ইতিমধ্যেই মারুতির এই বিজনেস পলিসি নিয়ে সমালোচনা করেছে সিসিআই। অবিলম্বে ডিলারদের সুস্থ পরিবেশে গাড়ির বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেছে 'অ্যান্টিট্রাস্ট রেগুলেটর বডি'। মারুতি-সুজুকির এই কাজের জন্য ২০০ কোটি টাকা জরিমানার কথা বলেছে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মারুতিকে এই টাকা দিতে হবে।


অভিযোগ প্রসঙ্গে মারুতির বক্তব্য (Maruti on Dealer Discount Policy) 
তদন্তের সময় এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয় মারুতি। কোম্পানির তরফে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। গাড়ি ডিলারদের বিক্রির ক্ষেত্রে সব ধরনের স্বাধীনতা দিয়েছে তারা। এই বিষয়ে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করে না কোম্পানি। ডিলাররা চাইলেই যেমন খুশি ছাড় দিতে পারে ক্রেতাকে। 


কী বলছে রয়টার্সের রিপোর্ট ? (news agency Reuters report)
যদিও রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, মারুতির সঙ্গে ডিলারদের মেল আদানপ্রদানের প্রামাণ্য নথি এসে পড়ে সিসিআই-এর হাতে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, ক্রেতাদের বেশি ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করত কোম্পানি। সিসিআই-এর অর্ডার কপিতে বলা হয়েছে, ডিলারদের নীতিতে হস্তক্ষেপ করেই ক্ষান্ত থাকেনি মারুতি। উল্টে যে ডিলাররা তাদের কথা শোনেনি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 


ভারতের গাড়ি বাজার বলছে, গড়ে দুটো গড়ি বিক্রি হলে তার মধ্যে একটি অবশ্যই মারুতির থাকে। দেশের যেকোনও সেগমেন্টে এক নম্বর স্থানে থাকে মারুতির গাড়ি। করোনাকালে বিক্রি কম হলেও পয়লা নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে কোম্পানি।