Work Life Balance: সারা বিশ্বে কর্পোরেট দুনিয়ায় যেখানে সপ্তাহে ৪ দিন বা ৩ দিন কাজের সুবিধা চালু হচ্ছে ক্রমে ক্রমে, সেখানে খুব সহজেই কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ব্যালেন্স (Work Life Balance) করাটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এই দুনিয়াতেও এমন একটি সংস্থা আছে যেখানে সংস্থার সিইও (CEO vs Employee) তাঁর কর্মীদের জেলবন্দিদের মত মনে করেন। বাড়ি থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধে বন্ধ করে দিয়েছে এই সংস্থা, এমনকী এখন অফিসে (Corporate Work Culture) কাজ করার সময়েও যাতে কর্মীরা চা-কফি খাওয়ার জন্য ব্রেক না নেন, তাঁর ব্যবস্থা করেছেন। আর এই আরবপতি সিইও চান যেন অন্যান্য সংস্থার সিইওরাও এই পদ্ধতি অনুসরণ করে।
মিনারেল রিসোর্সেস সংস্থার সিইও
অস্ট্রেলিয়ার একটি মাইনিং সংস্থা মিনারেল রিসোর্সেস-এর সিইও ক্রিস এলিসন সংস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা তুলে দিয়েছেন এবং এবার থেকে কর্মীদের চা-কফি খাওয়ার ব্রেকও বন্ধ করতে চলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে কাজের দিন কমানোর ব্যাপারে তিনি কট্টর বিরোধী। তিনি কোনওভাবেই চান না যে সপ্তাহে ৩ দিন কাজ করে কর্মীদের ৫ দিনের বেতন দেওয়া হোক। কর্মীদের এক মিনিটের জন্যেও ছাড় দেন না তিনি। এই ছাড় দেওয়ার কারণে অনেক বাজে প্রভাব পড়ে কাজের ক্ষেত্রে, এমনটাই মত ক্রিস এলিসনের।
কর্মীদের সমস্ত রকম সুবিধে দিতে প্রস্তুত এই সিইও
ক্রিস এলিসন জানিয়েছেন যে পার্থ অঞ্চলে এই সংস্থার হেড অফিসে কর্মীদের সমস্ত রকম সুবিধে দিতে প্রস্তুত তিনি, এর মধ্যে রয়েছে ক্যাফে, জিম, রিফ্লেকশন রুম, ওয়েলনেস সেন্টার ইত্যাদি আরও কত কি। তিনি মনে করেন এত সব কিছু সুবিধে দেওয়ার পরেও কর্মীদের আর কোনও অতিরিক্ত কিছুর প্রয়োজন হতে পারে না। এই সমস্ত কিছুর জন্য কর্মীরা এই সংস্থার অফিস বিল্ডিং ছেড়ে বাইরে যেতে পারবে না। তিনি এও জানিয়েছেন যে এই সংস্থার কর্মীরা অফিস বিল্ডিং ছেড়ে বাইরে যেতেই চান না এবং এখানে কর্মীরা খুশি মনে কাজ করেন। অন্যান্য সংস্থাকেও এই একই নিয়ম অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ওয়ার্ক কালচারের বিরুদ্ধে এই নিয়ম
মিনারেল রিসোর্সেস সংস্থার সিইও ক্রিস এলিসনের এই কঠোর নীতি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ক কালচারের একেবারে বিরুদ্ধে। এই দেশে সমস্ত হোয়াইট কলার চাকরির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধে পাওয়া যায়। সপ্তাহে ২ দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধে দেয় বহু সংস্থাই। এর ফলে কর্মীরা নিজেদের পরিবার ও সন্তানাদির যত্ন-খেয়াল রাখতে পারেন খুব সহজেই। এমনকী বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ কাজও সহজেই সামলে নিতে পারেন। আর অন্যদিকে সিইও ক্রিস এলিসনের মতে তাঁর সংস্থার ডে কেয়ার সেন্টারের মাসিক বেতন মাত্র ২০ ডলার যার কারণে নিজের সন্তানকে সেখানে রেখে সহজেই কর্মী অফিসে এসে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: PPF Rules: পিপিএফের নিয়মে নতুন ৩ পরিবর্তন, না জানলেই সমস্যা !