মুম্বই: ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ থেকে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানির বেতন ১৫ কোটি টাকা। এ বছরও তিনি সেই বেতন না বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য তিনি এ বছর বেতন নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। বেতন, ভাতা, কমিশন মিলিয়ে তাঁর পাওনা ছিল ২৪ কোটি টাকা। সেই টাকা তিনি নিচ্ছেন না।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ ডি অম্বানি স্বেচ্ছায় বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, করোনা সংক্রমণের ফলে ভারতে সামাজিক, আর্থিক ও শিল্পের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়েছে। বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সকে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, করোনার প্রভাব না কমা পর্যন্ত তিনি বেতন নেবেন না।’

২০১৯ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্টে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজের বেতন ১৫ কোটি টাকাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এ বছরের এপ্রিলের শেষে যখন সংস্থা বেশিরভাগ কর্মীরই বেতন ১০ থেকে ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তিনি বেতন না নেওয়ার কথা জানান। যতদিন না সংস্থার কাজকর্ম আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে এবং আয় বাড়ছে, ততদিন তিনি বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন। একইভাবে সংস্থার অন্যান্য এগজিকিউটিভরা ৫০ শতাংশ বেতন নেবেন বলে জানিয়েছেন।’

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মুকেশের বেতন ও ভাতা মিলিয়ে পাওয়ার কথা ছিল ৪.৩৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যা ছিল ৪.৪৫ কোটি টাকা। তাঁর কমিশন ৯.৫৩ কোটি টাকাই আছে। বেতনের অতিরিক্ত টাকা ৩১ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ লক্ষ। অবসরকালীন ভাতা ৭১ লক্ষ টাকা। মুকেশের আত্মীয় নিখিল আর মেসওয়ানি ও হিতাল আর মেসওয়ানির বেতন ২০.৫৭ কোটি টাকা বেড়ে হয় ২৪ কোটি টাকা। মুকেশের স্ত্রী নীতা অম্বানি সংস্থার নন-এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হলেও, কমিশন বাবদ পান ১.১৫ কোটি টাকা। তাঁর সিটিং ফি সাত লক্ষ টাকা।