Petrol Pump Digital Payment Banned: ভারতের রাস্তায় রোজই কোটি কোটি গাড়ি চলে। দু-চাকার হোক কিংবা চার চাকার, সবেতেই তেল ভরানো (Petrol Pump) হয় পেট্রোল পাম্পে। দেশে প্রতিদিনই কোটি কোটি লিটার পেট্রোল ডিজেল ব্যবহার করা হয় গাড়িতে, বাইকে কিংবা স্কুটারে। দেশের সমস্ত শহরেই অনেকগুলি (Petrol Diesel) করে পেট্রোল পাম্প রয়েছে।
আগে এই সমস্ত পেট্রোল পাম্পে মানুষ নগদ টাকা দিয়েই তেল ভরাতেন। এখন ইউপিআই, ডিজিটাল পেমেন্ট শুরু হওয়ার ফলে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেই টাকা দেন তেল ভরানোর পরে। তবে এবার থেকে দেশের এই শহরে আর পেট্রোল পাম্পে অনলাইনে টাকা দিয়ে তেল ভরাতে পারবেন না। সঙ্গে নগদ টাকা না থাকলে তেল ভরানো যাবে না।
নাগপুরে নগদ টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না পেট্রোল ডিজেল
নাগপুর শহরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে। এই শহরের মানুষদের জন্য বড় খবর। নাগপুরের পেট্রোল পাম্পগুলিতে পেট্রোল ডিজেল ভরানোর ক্ষেত্রে বড় বদল আনতে চলেছে। বিদর্ভ পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করেছে যে ১০ মে তারিখের পরে কোনও পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করা হবে না অর্থাৎ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে তেল ভরানোর সুবিধে দেওয়া হবে না মানুষকে। গাড়িতে বা বাইকে তেল ভরানোর দরকার হলে আপনাকে সঙ্গে নগদ টাকা রাখতে হবে। ১০ মে-র আগে অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করা হলেও এর পর থেকে আর এই সুবিধে পাওয়া যাবে না।
এই কারণে নেওয়া হয়েছিল সিদ্ধান্ত
দেশে প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে দেশ ও দেশের বাইরেই যেখানে ডিজিটাল পেমেন্টের জোয়ার এসেছে, সেখানে নাগপুরের পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত সাইবার জালিয়াতি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দেশে এখনও ৬০ শতাংশ মানুষ তেল ভরানোর সময় অনলাইনেই টাকা দেন। ফলে এই সিদ্ধান্তের জেরে হাজার হাজার মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। বিদর্ভ পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মালিকদের তরফে জানানো হয়েছে যে সাইবার অপরাধজনিত মামলা এখন দেশে বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ফেডারেশন অফ অল মহারাষ্ট্র পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত গুপ্তা জানিয়েছেন যে সমস্ত পেট্রোল পাম্পে তখন থেকেই আবার ডিজিটাল পেমেন্ট গৃহীত হবে, যদি সরকারি তরফে এই ধরনের সাইবার জালিয়াতি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। ডিসিপি ললিত মাতানি জানিয়েছেন যে প্রোটোকল অনুযায়ী সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে সংযুক্ত প্রমাণিত হলে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত আরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। আর এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি যদি নিশ্চিত থাকেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত নয়, তাঁকে সাইবার সেলে চিঠি পাঠিয়ে বা আদালতে তদ্বির করে এই অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে হবে।