নয়াদিল্লি: চিন সফর সেরে ফিরে এসেছেন রাজধানীতে। আর দেশে ফিরেই আমেরিকাকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করেও স্বার্থপরতার কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। মোদির দাবি অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার দরুণ চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও, ভারতের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। (Narendra Modi)
দিল্লিতে সেমিকন ইন্ডিয়া কনফারেন্সে বক্তৃতা করেন মোদি। সেখানে তিনি জানান, প্রত্যাশা এবং মূল্যায়নের চেয়ে ভাল ফল করছে ভারতের অর্থনীতি। তাঁর বক্তব্য, “পৃথিবীর সর্বত্র যখন অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ, স্বার্থপরতার দরুণ পরিস্থিতি দুরূহ হয়ে উঠছে, সেই সময়ও ভারতে বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ।” (India-US Relations)
মোদি জানিয়েছেন, ভারতের অভ্য়ন্তরীণ উৎপাদন বা GDP ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যাশা ছিল ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধির। গত বছরের এই সময় বৃদ্ধির হার যা ছিল, তার চেয়েও ১.৩ শতাংশ বেশি। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি চোখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন মোদি। তাঁর বক্তব্য, “আমরা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগোচ্ছি। সেই দিন আর দূরে নয়, যেদিন গোটা পৃথিবী বলবে, ভারতের নকশা, ভারতের নির্মাণেই ভরসা গোটা পৃথিবীর।”
গত অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে সেই নিরিখে বৃদ্ধি বেশি বলেই ঠাহর হচ্ছে। গত পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্য় এই বৃদ্ধির হার দ্রুততমও। এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ।
বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে এই মুহূর্তে তীব্র টানাপোড়েন চলছে ভারত ও আমেরিকার উপর। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই আবহে মোদির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
শুল্ক নিয়ে এখনও টানাপেড়েন চলছে আমেরিকা ও ভারতের মধ্য়ে। সেই আবহে একদিন আগেই নতুন করে ভারতকে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি ছিল, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক বরাবরই একতরফা। ভারত আমেরিকার বিপুল পণ্য বিক্রি করলেও, ভারতের বাজারে আমেরিকার তেমন ব্যবসা নেই বলে জানান। তিনি জানান, এতকাল ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক একতরফাই ছিল। আমেরিকার বাজারে ভারত সুবিধা পেলেও, আমেরিকার কাছ থেকে ভারত চড়া শুল্ক আদায় করছিল।