Food Safety : সোমবারই পড়তে পারে পতঞ্জলির শেয়ার (Patanjali Shre Price) । খাদ্য সুরক্ষা দফতরের (FSSAI) নির্দেশে বড় ধাক্কা খেল পতঞ্জলি ফুডস (Patanjali Foods)। বাজার থেকে নির্দিষ্ট ব্যাচের লঙ্কার গুঁড়ো (Red Chilli Powder) তুলে নিতে বলল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)।
কী বলছে সংস্থা
দেশের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) পতঞ্জলি ফুডসকে খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ম না মানায় এই নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই লঙ্কার গুঁড়োর একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ তুলে নিতে বলছে নিয়মায়ক সংস্থা। যার পরই পতঞ্জলি ফুডস ৪ টন লাল লঙ্কার গুঁড়ো ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে। গ্রাহকদের পণ্য ফেরত দিয়ে টাকা নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা।
কোম্পানির সিইও সঞ্জীব আস্থানা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “পতঞ্জলি ফুডস ৪ টন লাল লঙ্কার গুঁড়ো (২০০ গ্রাম প্যাক)-র ছোট প্যাকেট তুলে নিয়েছে।
লঙ্কার গুঁড়ো কেন বাতিল
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)-এর তরফে বলা হয়েছে, “পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার সময় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের সর্বোচ্চ অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে পণ্য়গুলি। এরপরই তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাধারণত, FSSAI লাল লঙ্কার গুঁড়ো-সহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের সর্বাধিক সীমা (MRLs) নির্ধারণ করে।”
কী সাফাই দিয়েছে কোম্পানি
এই বলেই থেমে থাকেনি পতঞ্জলি কর্তৃপক্ষ। আস্থানা বলেছেন, ''সংস্থা এই খবর পাওয়ার পরই দ্রুত ডিস্ট্রিবিউটরদের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গ্রাহকদের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেছে সংস্থা। যেখানে পণ্য় কেনার পরিবর্তে গ্রাহকদের তা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। যেখানে পুরো অর্থ ফেরত পাবেন গ্রাহকরা। কোম্পানি সব পণ্যের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
কী কী কাজ করে পতঞ্জলি
১৯৮৬ সালে বাবা রামদেবের নেতৃত্বাধীন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ গ্রুপ পতঞ্জলি ফুডস ( আগের রুচি সোয়া) ভারতের শীর্ষ এফএমসিজি কোম্পানিগুলির মধ্য়ে একটি। কোম্পানি ভোজ্য তেল, খাদ্য, এফএমসিজি, বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ব্যবসা করছে। সংস্থা পতঞ্জলি, রুচি গোল্ড, নিউট্রেলা ইত্যাদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অধীনে পণ্য বিক্রি করে।
কেমন ফল করেছে ত্রৈমাসিকে
পতঞ্জলি ফুডস সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য ইনডিভিজিয়াল নেট মুনাফা 21 শতাংশ বৃদ্ধি করে 308.97 কোটি টাকা পোস্ট করেছে। আগের বছরের একই সময়ে এর নিট মুনাফা ছিল 254.53 কোটি টাকা। এই অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মোট আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে 8,198.52 কোটি টাকা, যা আগের বছরের 7,845.79 কোটি টাকা থেকে বেশি।