Baba Ramdev : দেশবাসীর আস্থা অর্জনের পাশাপাশি এবার আরও এক পালক জুড়ুল পতঞ্জলি ফুডসের সঙ্গে। এবার পতঞ্জলি ফুডস পেল AEO টিয়ার-২ সার্টিফিকেট। মূলত, বিশুদ্ধতা ও সাপ্লাই চেনের সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় এই শংসাপত্র। কেবল ভারতের কয়েকটি কোম্পানি পেয়েছে এই স্বীকৃতি। বাবা রামদেব এই স্বীকৃতিকে জাতি গঠনে অবদান রাখার সম্মান হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
স্বদেশির ইতিহাসে আরও একটি সোনালী অধ্যায়
ভারতে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের সময় পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেড দেশবাসীর কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই কোম্পানি এখন স্বদেশির ইতিহাসে আরও একটি সোনালী অধ্যায় যুক্ত করেছে। পতঞ্জলি জানিয়েছে, বিশ্ব শুল্ক সংস্থা (WCO), অর্থ মন্ত্রক, ভারত সরকার ও ভারতীয় শুল্ক বিভাগ মিলিত হয়ে পতঞ্জলিকে AEO (অথরাইজ ইকোনমিক অপারেটর) টিয়ার-২ সার্টিফিকেট দিয়েছে।
কেন এই শংসাপত্র পেয়েছে কোম্পানি
পতঞ্জলি বলেছে, “এই সার্টিফিকেট বিশ্ব বাণিজ্যে বিশুদ্ধতা, স্বচ্ছতা ও সাপ্লাই নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির সর্বোচ্চ মানের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি কোম্পানি এই মর্যাদা পেয়েছে। FMCG সেক্টরে মাত্র কয়েকটি কোম্পানি এই মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট লাভ করেছে। এখন, পতঞ্জলির নাম সোনালী অক্ষরে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।”
কোম্পানির মতে, “AEO Tier-2 সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কোম্পানি ২৮ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা পাবে। যার মধ্যে রয়েছে শুল্ক বিলম্বিত অর্থ প্রদান, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি মওকুফ, ডিরেক্ট পোর্ট ডেলিভারি (DPD), ২৪x৭ ক্লিয়ারেন্স সুবিধা ইত্যাদি।”
কেন এই সার্টিফিকেট পতঞ্জলি ফুডসের কাছে সম্মানের ?কোম্পানির কথায়, “এই সার্টিফিকেট যেকোনও কোম্পানির গুণমান, সততা, স্বচ্ছ কর্মপদ্ধতি ও জাতীয় স্বার্থে অবদানের প্রমাণ। গুণমানের সত্যতা, কর্তব্যনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বদেশি চেতনার মাধ্যমে পতঞ্জলি এই বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এটি কেবল একটি সার্টিফিকেট নয়, বরং ভারতের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করে এমন একটি সম্মান।”
বাবা রামদেব সার্টিফিকেট পাওয়ার পর কী বললেন?এই শংসাপত্র নিয়ে যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, “আজ কেবল পতঞ্জলি পরিবারের জন্যই নয়, বরং প্রতিটি ভারতীয়ের জন্যও গর্বের দিন। পতঞ্জলি বিশ্বাসযোগ্যতা, সত্যতা, প্রতিযোগিতা এবং মানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন নতুন গতিতে এগিয়ে চলেছে। ব্যবসায়িক জগতে উদ্যোগের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে, যারা ভারতকে বিশ্ব অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখতে চায় এটা তাদের সকলের জন্য সম্মানের।
এই শংসাপত্রটি জাতি গঠনের জন্য আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে। এই সম্মান আমাদের নিষ্ঠা, গুণমান ও সততার স্বীকৃতি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে ‘স্বদেশি থেকে আত্মসম্মানের’ পথে, আমরা আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাব ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনে নিয়ে যাব।”
শংসাপত্র গ্রহণের পর আচার্য বালকৃষ্ণ কী বললেন ?সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়ে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, “এই সম্মান অর্জন সমগ্র পতঞ্জলি পরিবার, কর্মচারী ও গ্রাহকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। AEO টিয়ার-২ সার্টিফিকেট প্রমাণ করে যে আমাদের কাজ স্বচ্ছতা, গুণমান এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করে। এই সম্মান রফতানি কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে ও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
এই সম্মান কেবল জাতির সীমানার মধ্যে আমাদের সমর্থন করবে না, বরং বিশ্বের প্রতিটি কোণে ভারতীয় সংস্কৃতি, আয়ুর্বেদ এবং স্বদেশি পণ্য প্রচারে সহায়তা করবে। আমরা অঙ্গীকার করছি যে- আমরা পতঞ্জলিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় FMCG ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করব ও ভারতের রফতানিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।”