ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম : রাত পোহালেই শুরু হবে কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকবেন পুলিশের ৫০০ আধিকারিক-সহ ১৫০০ জন পুলিশকর্মী এবং ২০০০ সিভিক কর্মী। 

আরও পড়ুন, 'বাংলায় কথা বলায়' কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রদের 'ছুরি, বন্দুকের বাঁট, হকি স্টিক দিয়ে মার' ! আহত অন্তত ১০ জন পড়ুয়া

রাত পোহালেই শুরু হবে কৌশিকী অমাবস্যা

আগামীকাল শুরু হবে কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে  প্রস্তুতি তুঙ্গে।  আর এই কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। অপ্রতিকর ঘটনা আটকাতে  প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। তারাপীঠে জুড়ে লাগানো হয়েছে সিসি টিভি। সরাসরি মায়ের আরতি এবং পুজো দেখানোর জন্য বসানো বেশ কয়েকটি জায়েন্ট স্কিন। সাজানো হয়েছে মন্দির চত্বর। মন্দিরে চত্বরে লাগানো হয়ে সিসিটিভি। 

কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা

কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্যাপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ-নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই 'কৌশিকী অমাবস্যা' নামটি এসেছে। মা তারা হলেন দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কৌশিকী তারই আরেক রূপ। 

খালি হাতে ফেরান না কখনই

হিন্দু তন্ত্র মতে, এই তিথিতে তপস্যা করলে ভাবনার উর্ধ্বে ফল মেলে। কৌশিকী শব্দের আভিধানিক অর্থ আদ্যাশক্তির বিশেষ রূপ। কথিত আছে এই তিথিতেই তপস্যা করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের নিচে বসে তপস্যা করেছিলেন সাধক বামদেব। এরপর আর বামদেবকে নিরাশ করেননি মা তারা। তিনি দেখা দিয়েছিলেন তাঁর ভক্তকে। আর এই থেকে ভক্তদেরও মত, যে মা তারাকে ডাকলে, তিনি নিরাশ করেন না, খালি হাতে ফেরান না কখনই। বলাইবাহুল্য তাই বছরবছর এত ভিড় হয় তারাপীঠে।  অপরদিকে, এই তিথিতেই সাধনায় বসেন বৌদ্ধ তান্ত্রিকরাও। তন্ত্রমতে, এক বিশেষ সময়ে এদিন স্বর্গ-নরকের দরজা খুলে যায়। সাধক নিজের ইচ্ছেপূরণ করতে সম্ভব হন। নেগেটিভ বা পজেটিভ শক্তি সাধনার মধ্যে দিয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করে নেন। 

ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।