Patanjali Ayurveda : বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা, কেবল মুনাফাই লক্ষ্য় নয় কোম্পানির। পতঞ্জলির লক্ষ্য় আরও বড় কিছু। অন্তত তেমনই দাবি করছে সংস্থা। জেনে নিন, পতঞ্জলির 'স্বচ্ছ মিশন'-এর পিছনে ঠিক কী রয়েছে ?
কী দাবি করছে কোম্পানিকোম্পানির মতে, ভারতীয় বাজারে পতঞ্জলি একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছে। যেখানে বেশিরভাগ কোম্পানি মুনাফা ও বাজারের অংশীদারিত্বের উপর মনোযোগ দিচ্ছে, সেখানে পতঞ্জলি নিজেকে একটি "মিশন" তুলে ধরেছে। কোম্পানি বলেছে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য কেবল ব্যবসা নয়, বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জাতির সেবা করা।
ব্যবসায় নীতির পাশাপাশি জাতীয়তাবাদ থাকতে হবে, মত রামদেবেরপতঞ্জলির মতে, "কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা যোগগুরু বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ বিশ্বাস করেন- ব্যবসায় নীতি ও জাতীয়তাবাদ থাকাটা অপরিহার্য। 'স্বচ্ছ মিশন'-এর আওতায় গ্রাহকরা যাতে কী ব্যবহার করছেন, তা স্পষ্টভাবে জানতে পারেন, তা নিশ্চিত করা কোম্পানির কাজ । পণ্যের গুণমান থেকে শুরু করে মূল্য নির্ধারণ পর্যন্ত, পতঞ্জলি বহুজাতিক কোম্পানিগুলির (MNC) একচেটিয়া আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করেছে। সাধারণ ভারতীয়দের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প প্রদান করেছে।"
পতঞ্জলির কর্মকাণ্ডের মূলে রয়ে ‘স্বদেশি’ চিন্তাধারাকোম্পানির দাবি, “যখন ভারতে তৈরি পণ্য বেশি ব্যবহার করা হয়, তখন তা সরাসরি ভারতীয় অর্থনীতির জন্য লাভজনক হয়। কোম্পানি ভারতীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচামাল সংগ্রহের উপর জোর দেয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে। পাশাপাশি পতঞ্জলি দাবি করে, এই লাভের একটি বড় অংশ ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরির জন্য ন,য় বরং দান, শিক্ষা, গো-রক্ষা ও যোগব্যায়ামের প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়।”
সংস্থার চূড়ান্ত লক্ষ্য, একটি সমৃদ্ধ ও সুস্থ ভারত গঠনসংস্থার দাবি, “আধুনিক বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে আয়ুর্বেদকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোম্পানি হরিদ্বারে গবেষণায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। সমালোচনা সত্ত্বেও পতঞ্জলি তার বিশ্বাসে দৃঢ় যে তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল ‘একটি সমৃদ্ধ ও সুস্থ ভারত’। সংক্ষেপে, পতঞ্জলির মডেল কর্পোরেট জগতের জন্য একটি কেস স্টাডি, যা দেখায় যে কীভাবে আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়তাবাদ একটি সফল ব্র্যান্ড তৈরির সময় সহাবস্থান করতে পারে।”