Post Office Recurring Deposit: সরকারি আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি নিশ্চিত প্রায় ৭ শতাংশ সুদ (Interest Rate) পেতে গেলে এই স্কিমে (Small Saving Schemes) নজর রাখতে পারেন আপনি। পোস্ট অফিস (Post Office) দিচ্ছে এই স্কিমের সুবিধা। 


কোথায় টাকা রাখেন বিনিয়োগকারীরা
সঞ্চয় বর্তমান জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার যদি সঞ্চিত অর্থ থাকে, তবে আপনার প্রয়োজনের সময় অন্যের কাছে ভিক্ষা করার দরকার নেই। কারণ জীবনে যখন কঠিন সময় আসে, তখন আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আপনাকে সাহায্য করতে পারে না। কিন্তু যদি আপনার সঞ্চয় থাকে, তাহলে তা অবশ্যই সহায়ক হতে পারে। এজন্য বিভিন্ন লোক বিভিন্ন জায়গায় টাকা বিনিয়োগ করে।


কম টাকা জমিয়ে পেতে পারেন ১০ লক্ষ 
কেউ কেউ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। কেউ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেন, কেউ আবার ব্যাঙ্ক এফডিতে টাকা রাখা নিরাপদ মনে করেন। কেউ কেউ সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা জমা করে। আপনিও যদি সঞ্চয়ের বিকল্প খোঁজেন, তাহলে পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি আপনার জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে। এতে বিনিয়োগ করে আপনি এই সময়ে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারবেন।


পোস্ট অফিস আরডি স্কিম দারুণ বিকল্প
অনেকে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। আপনিও যদি বিনিয়োগের উপায় খোঁজেন, তাহলে পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম আপনার জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে। বর্তমানে, আপনি পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিটে আপনার বিনিয়োগের উপর 6.7% সুদ পাচ্ছেন। এই স্কিমে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা জমা করলে এই সুদ পাবেন আপনি।


কীভাবে মাসে ৭ হাজার টাকা থেকে পাবেন ১০ লাখ
এই স্কিমে মাসে ৭ হাজার টাকা ধরে আপনি 5 বছরে 4,20,000 টাকা জমা দিতে পারেন। আপনি যদি 5 বছরে 6.7% হারে সুদের পরিমাণ গণনা করেন, তাহলে তা আসে 79,564 টাকা, অর্থাৎ মোট 4,99,564 টাকা। কিন্তু আপনি যদি এই স্কিমটি আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেন, তাহলে আপনি প্রায় 10 লক্ষ টাকা জমা করতে পারেন।


কীভাবে এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে প্রথমে আপনার কাছের পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে। যার মধ্যে থাকবে আবেদনপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ঠিকানা প্রমাণ, প্যান কার্ডের মতো নথি। আবেদনপত্র পূরণ করার পরে এই সব নথি সহ আপনার আবেদনপত্র পোস্ট অফিসের কর্মচারীকে দিন। এর পরে, পোস্ট অফিসে আপনার রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। যাতে আপনাকে প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে। আপনাকে নগদ বা চেকের মাধ্যমে প্রথম কিস্তি জমা দিতে হবে।


( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)


Ration Card Rules Revised: এবার থেকে রেশনে পাবেন কম চাল, গম পাবেন কত কিলো জানেন ?