Investing Rule: শেয়ার বাজারে যারা সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারেন না, তাঁদের জন্য বিনিয়োগের সেরা উপায় হল মিউচুয়াল ফান্ড। নিজে থেকে শেয়ার বাছা, শেয়ার নিয়ে পড়াশোনা করার ঝামেলা নেই। প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় টাকা জমা করে দেওয়া যায় ফান্ডে SIP-র মাধ্যমে। আর শেয়ারের মুনাফার লভ্যাংশ ধরেই এই মিউচুয়াল ফান্ডেও আপনার টাকা বাড়ে, কখনও কমে। এমনই কিছু ফান্ড রয়েছে যেগুলিতে বিগত ২৪ বছরে টানা বিনিয়োগ করলে ১ লাখ থেকেই পাওয়া গিয়েছে ৩৪ লাখ টাকা। আপনিও কি বিনিয়োগ করেছিলেন এই ফান্ডে ?


শেয়ার হোক মিউচুয়াল ফান্ড, আসল মজা হল কম্পাউন্ডিংয়ের খেলায়। আপনার আমানত চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। আর সেখানেই ব্যাঙ্কের সাধারণ ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে এই শেয়ারের মুনাফার ধরন আলাদা হয়ে যায়। ২৪ বছরে ১ লাখ টাকাকে ৩৪ লাখ বানিয়েছে এমনই একটি মিউচুয়াল ফান্ড যার নাম Quant ELSS Tax Saver Fund। কম্পাউন্ডিংয়ের সেরা উদাহরণ দিয়েছে এই ফান্ডটি। ২০০০ সালের ১৩ এপ্রিল বাজারে লঞ্চ হয়েছিল এই ফান্ডটি। আর সেই সময় যদি কেউ এই ফান্ডে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবতেন, তাহলে ২৪ বছর পর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই ১ লাখ থেকে ৩৪ লাখ টাকা রিটার্ন পাওয়া যেত।


ELSS ফান্ড কী ?


ELSS-এর পুরো কথা হল ইউকুটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম। এই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড আপনার আমানতের ৮০ শতাংশ ইকুইটিতে অর্থাৎ স্টকে বিনিয়োগ করে থাকে। ৩ বছরের সাধারণ একটি লক-ইন পিরিয়ড থাকে। অন্যান্য সমস্ত ট্যাক্স সেভিং বিকল্পের তুলনায় এই মেয়াদ খুবই কম। এই ফান্ডে বিনিয়োগ করলে করও বাঁচানো যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।  


কোয়ান্ট ট্যাক্স সেভিং ফান্ড


বিগত এক বছরে ৪৭ শতাংশ রিটার্ন এনে দিয়েছে কোয়ান্ট ট্যাক্স সেভিং মিউচুয়াল ফান্ড। অর্থাৎ যদি কেউ আগের বছর এই ফান্ডে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে আপনার জমানো টাকা আজকের দিনে হয়ে যেত ১.৪৭ লাখ টাকা। বিগত ৩ বছরে ৩৫.২০ শতাংশ CAGR দিয়েছে এই ফান্ডে। অর্থাৎ ১ লাখ তিন বছরে হত ২.৪৭ লাখ টাকা। আর বিগত ৫ বছরের হিসেব ধরলে ৩০.৮৮ শতাংশ CAGR দিয়েছে এই ফান্ড। ৫ বছরে এক লাখ টাকা থেকে আজকের দিনে আপনি এই ফান্ডে বিনিয়োগ থেকে পেতেন ৩.৮৪ লাখ টাকা।


আরও পড়ুন: Multibagger Stock: ৫ বছরে ১ লাখকে ৭.৫ লাখ বানিয়েছে এই স্টক, ফার্মা সেক্টরের এই শেয়ারটি কি দেখেছেন ?