অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: হাজরা মোড়ে (Left Intellectuals Rally) বামপন্থী বিশিষ্টদের মিছিল আটকাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন বামপন্থী বিশিষ্টরা। লেক মার্কেট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) প্রতিবাদে মিছিল করা হয়। সেখানেই পুলিশ বাধা দিয়েছিল বলে দাবি।
যা জানা গেল...
পুলিশের তরফে মাইক ব্যবহারে বার বার নিষেধ করা হয়। যদিও বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা আইনীজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'ওরা মাইক ব্যবহার নিয়ে নির্দেশের অর্থ বোঝেনি...আজ থেকে ১৫ বছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক চালিয়ে কোনও মিটিং করা যাবে না...আমরা চলমান মিছিলে ঘোষণার জন্য মাইক রেখেছি। কিন্তু ওঁরা বলছেন, ওঁদের উপর নির্দেশ রয়েছে। সেই নির্দেশ বলবৎ করতে গিয়ে ওঁরা যা করলেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনও সভ্য সমাজে পুলিশের এটা করা উচিত নয়।'
এদিন পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মিছিলে মাইক ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছিল। যে অটোয় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ তা বাজেয়াপ্ত করবে বলে জানায়। এদিনের মিছিলে হাঁটেন মন্দাক্রান্তা সেন, নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মিছিল নিয়ে উত্তেজনার মধ্য়েই মন্দাক্রান্তা সেনকে বলতে শোনা যায়, 'সন্দেশখালি উঠে দাঁড়িয়েছে। আমরা তার পাশে রয়েছি।'
বসিরহাটে মহামিছিল...
একদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন লেক মার্কেট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত বাম-বুদ্ধিজীবীরা মিছিল করলেন, তখনই অন্য দিকে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতারি ও সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে বসিরহাটও মহামিছিল করে সিপিএম। দিনচারেক আগে, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।বেপাত্তা শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন তিনি। নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বাঁশদ্রোণী থানার সামনে সে দিন বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। নোটিসেই বাড়ি থেকে তুলে এনেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ, অভিযোগ করেন নিরাপদ। গ্রেফতারির পর আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে গণ্ডগোলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গ্রেফতার করে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে।
শুধু সিপিএম নয়, এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপিও। বিশেষত সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বাঁকুড়া। আবার, রানাঘাট পুলিশ জেলার SP অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন পার্থ ভৌমিককে দেখে 'চোর' স্লোগানও ওঠে। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কনভয় কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় 'চোর চোর' স্লোগান ওঠে। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি, কটাক্ষ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:এবার মুকুল রায়কে তলব ED-র, 'হাঁটতে পারেন না, যাবেন কী করে'? প্রতিক্রিয়া ছেলের