Jhunjhunwala The Philanthropist: দালাল স্ট্রিটে নক্ষত্র পতন। রবিবারের সকালেই এসেছে দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন দেশের অন্যতম ধনকুবের রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। ধনসম্পদ, প্রতিপত্তির জন্য দেশের মানুষের কাছে পরিচিত তিনি। অনেকেই জানেন না, এর বাইরেও জগৎ ছিল 'বিগ বুল'-এর।


Rakesh Jhunjhunwala: মানবদরদী মন ছিল রাকেশের    
তাঁর বিপুল অর্থের জন্য বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে নাম উঠেছিল ঝুনঝুনওয়ালার। একাধারে শেয়ার বাজারে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগের পাশাপাশি অনেক কোম্পানির ডিরেক্টর , চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি মানুষের স্বার্থে করেছেন অনেক কাজ। গরিব মানুষের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষার জন্য হাত বাড়িয়েছেন তিনি। উপার্জনের ২৫শতাংশ অর্থ দিতেন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে।  'ভারতের ওয়ারেন বাফেট' বলা হত তাঁকে।


Jhunjhunwala The Philanthropist: চোখের হাসপাতাল থেকে ক্যান্সারে আক্রান্তদের সাহায্য
২০২০ সালেই দাতব্য কাজে তার আয়ের ২৫ শতাংশ দান করেছিলেন ঝুনঝুনওয়ালা। ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র সেন্ট জুডে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, অগস্ত্য ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ও অর্পণ-এর মতো সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই ধনকুবের। শিশুদের যৌন শোষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করে এই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও মহারাষ্ট্রের পানভেলে একটি ২২৫ শয্যার শঙ্করা আই হাসপাতাল হসপিটার তৈরি করেছিলেন তিনি। যেখানে হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিসা ও অস্ত্রোপচার করা হয়।


Rakesh Jhunjhunwala : বিমান পরিষেবার ব্যবসায় নেমেছিলেন সম্প্রতি
সূত্রের খবর, ২-৩ সপ্তাহ আগেই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছিল ঝুনঝুনওয়ালাকে। একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ধনকুবেরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, আকাসা এয়ারের সঙ্গে বিমান শিল্পে প্রবেশ করেছিলেন ঝুনঝুনওয়ালা। ৭ অগাস্ট প্রথম উড়ান ভরেছিল এই বিমান। এখানেই শেষ নয়, ভারতের 'ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট টু ইউনাইটেড নেশনস'-এর উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।


Rakesh Jhunjhunwala's Early life: শেয়ার বাজারে শুরুটা কেমন ছিল ?
দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তির শুরুটা মসৃণ ছিল না। শেয়ার বাজারে অনেক 'ঠেকে শিখেছেন' তিনি। অনেক ইন্টারভিউতে নিজেই সেই কথা বলেছেন ঝুনঝুনওয়ালা। বড় শিল্পপতির মতো 'সোনার চামচ' মুখে নিয়ে জন্মাননি তিনি। ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। তবে শেয়ার বাজারের প্রতি আগ্রহটা জন্মেছিল তাঁর বাবার কথা শুনে। বাবার মুখে দালাল স্ট্রিটের উত্থান-পতন মনে ধরেছিল তরুণ রাকেশের। সেই থেকেই ঝুঁকি নেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করতে শুরু করে ঝুনঝুনওয়ালার মনে। কলেজ জীবনেই মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে হাতেখড়ি। সেই আমানত দেখতে দেখতে বদলে যায় ৫.৫ বিলিয়নে। অন্তত সেই কথাই বলছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।