নয়াদিল্লি : কখনও বেড়েছে চালের দাম, কখনও ডালের, কখনও আবার নাভিশ্বাস উঠেছে ডিমের দামে। পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝেও চোখে এসেছে জল। ডাল, মশলা, ফলমূল থেকে  শাকসবজি, কীসের না দাম বাড়েনি? আর তার জের সরাসরি পড়ল খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতির হারে। নভেম্বরে দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক পৌঁছেছিল ৫.৫৫ শতাংশে । আর এবার সেই সূচককেও ছাপিয়ে গেল বর্তমান পরিসংখ্যান। National Statistical Office (NSO) র দেওয়া তথ্য বলছে, গত ৪ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার হয়েছে সর্বোচ্চ, ৫.৬৯ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য সূচক বেড়েছে সব্জি ডাল ও মশলার দামবৃদ্ধির কারণে, বলছে সরকারি তথ্য।  গ্রামীণ এলাকায় খুচরা মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বরে ৫.৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ডিসেম্বরে হয়েছে ৫.৯৩ শতাংশ।  শহরাঞ্চলে ডিসেম্বরে  মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪৬ শতাংশ যা আগের মাসে ছিল ৫.২৬ শতাংশ ছিল।


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য়মাত্রা ছিল দেশের মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশে বেঁধে রাখা। কিন্তু নভেম্বরেই দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক ৫.৫৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল । এবার দেখা যাচ্ছে, খুচরো বাজারে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতির হার।  ২ মাস আগে অর্থাৎ গত নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। 


শিল্পে বৃদ্ধির (Index of Industrial Production - IIP) হারও গত ৮ মাসে সর্বনিম্ন। গত মাসের হিসেবে শিল্পে বৃদ্ধির হার নেমেছে ২.৪ শতাংশে। 


লোকসভা ভোটের আগে এই মুদ্রাস্ফীতি নিঃসন্দেহে চাপে রাখবে সরকারকে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে গলায় কাঁটার মতো বিঁধতে পারে এই ইনফ্লেশন রেট।  ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে চাইবে সরকার। 


 


 


আরও পড়ুন :


আর কদিন পরেই জীবনের বড় পরীক্ষা, কী ভাবে সামলাবে আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ ?