Post Office: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) গত বছর রেপো রেটের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি করার পরই ফের ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) দিকে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা। অনেকেই এখন স্থায়ী আমানত (FD)-তে ইনভেস্ট করছেন। গত বছরের মে মাস থেকে ব্যাঙ্কগুলি FD-এর সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। মনে রাখবেন, পোস্ট অফিসের সঞ্চয় বিকল্পগুলিও ভাল সুদ দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক না পোস্ট অফিস কোথায় বিনিয়োগ করলে আপনার বেশি লাভ।


সুদের হার:
পোস্ট অফিসগুলি বিভিন্ন মেয়াদি আমানতের উপর 6.8 থেকে 7.5 শতাংশের মধ্যে সুদ দেয়৷ অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক এফডি-তে কোনও অভিন্ন সুদের হার নেই। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মেয়াদি আমানত প্রকল্পে বিভিন্ন সুদের হার অফার করে। এই রিটার্ন পোস্ট অফিসের অফার থেকে বেশি হতে পারে।


অস্থিরতা:
পোস্ট অফিস স্কিমগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে যুক্ত ও কম অস্থিরতা দেখায়। বাজারের অবস্থার প্রভাবের ক্ষেত্রে এগুলি FD-এর চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প। এই প্রকল্পগুলিতে সরকার বিমা করে রাখে।


ব্যাঙ্ক এফডি-র ক্ষেত্রে, প্রধান বীমাকারী হল ব্যাঙ্ক৷ আমানত RBI কেবল 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা দেয়। ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা বিশ্ব বাজারের ওঠানামার ওপর প্রভাবিত হয়।


ট্যাক্স বেনিফিট:


উভয় ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটই 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর সুবিধা দেয়৷


সময়কাল:


ব্যাঙ্ক মেয়াদি আমানত 7 দিন থেকে 10 বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পোস্ট অফিস এফডি শুধুমাত্র 5 বছর পর্যন্ত হতে পারে।


ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস এফডিগুলির মধ্যে কীভাবে বাছবেন:
১ মেয়াদি আমানতে টাকা রাখার আগে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে হবে।


২ রিটার্নের হার বিবেচনাধীন একমাত্র কারণ নয়। কিছু ব্যাঙ্ক উচ্চতর সুদের হার অফার করে, যদিও বেশি অস্থির হওয়ার কারণে অর্থ বিনিয়োগকারীদের তাদের অর্থ হারানোর একটি সুযোগ থাকতে পারে।


৩ পোস্ট অফিস স্কিমগুলি আয়ের ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প। তারা প্রতিযোগিতামূলক সুদের হারও অফার করে।


৪ বিনিয়োগকারীদের যা নিশ্চিত করতে হবে তা হল তারা যেন তাদের সব সঞ্চয় একটি স্কিমে বিনিয়োগ না করেন। একটি বৈচিত্রপূর্ণ বিনিয়োগপোর্টফোলিও মুদ্রাস্ফীতিকে হারানোর ও আপনার অর্থ নিরাপদ রাখার সর্বোত্তম উপায়।


আরও পড়ুন : Anti-Sleep Alarm: গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে থেমে যাবে চাকা! মধ্যপ্রদেশের ছাত্ররা তৈরি করল এই যন্ত্র