কলকাতা: রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব নেই, অভাব রয়েছে সচেতনতার। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং নিয়ে সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, লোড না বাড়িয়ে এসি, ফ্রিজ চালানোর জন্যই খারাপ হচ্ছে ট্রান্সফর্মার। 


দায়ী মানুষের অসচেতনতা, মন্তব্য বিদ্যুৎমন্ত্রীর: তীব্রতাপে পুড়ছে বাংলা। পাখার হাওয়াতেও শুকোতে চাইছে না ঘাম। এসি চালিয়ে, যে একটু জিরোবেন, তারও উপায় নেই।কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো, শুরু হয়েছে লোডশেডিং-এর যন্ত্রণা। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কেন বার বার ঘটছে এমন ঘটনা? কী করছে সিইএসসি বা WBSEDCL?  প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

যদিও এই ঘটনার জন্য সাধারণ মানুষের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, লোড না বাড়িয়ে এসি, ফ্রিজ চালানোর জন্যই খারাপ হচ্ছে ট্রান্সফর্মার। এনিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। লোডশেডিং ভোগান্তির মধ্য়ে মঙ্গলবার, CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী। পাশাপাশি, কোথাও বিদ্য়ুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত কোনও সমস্য়া হলে, তা জানানোর জন্য় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে WBSEDCL। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল -89007 93503, 89007 93504


বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় লোডশেডিং: বেলেঘাটা থেকে হরিদেবপুর, যোধপুর পার্ক থেকে পূর্বাচল জ্বালাপোড়া গরমের মধ্য়ে কলকাতার বিভিন্ন অংশে লোডশেডিং।ফ্য়ান ছাড়া যেখানে এক সেকেন্ডও থাকা যাচ্ছে না, সেখানে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত ৩-৪ দিন ধরে শুরু হয়েছে চরম বিদ্য়ুৎ ভোগান্তি। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।


যেমন, বেলেঘাটার গান্ধীপাড়া, আলোছায়া মোড়, জয়শ্রী সহ একটা বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার থেকে এখানে দফায় দফায় চলে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমের মধ্য়ে দিনের একটা বড় সময় কারেন্ট থাকছে না। সারারাতও প্রায় একই অবস্থা। এই অবস্থায় চরম সমস্য়ায় দিন কাটছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। এদিকে রবিবার সকালে একটি ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগে। ফলে, দুর্ভোগ চরমে ওঠে। একটা জেনারেটর এনে অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে, লোডশেডিংয়ে হয়রানি-ভোগান্তির জেরে, মঙ্গলবার সকালে বেলেঘাটার আলোছায়া-মোড়ের কাছে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই ছবি হরিদেবপুরেও। স্থানীয়দের দাবি, সোমবার রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে মহাত্মা গাঁধী রোডের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিবাদে হরিদেবপুর পোস্ট অফিসের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁর আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, জেনারেটর পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত CBI হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা