Share Market News:  শেয়ার বাজারে ক্রমেই ইনফ্লুয়েন্সারদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শেয়ার নিয়ে টিপস, পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এই ধরনের বেশ কিছু সংগঠনও আছে দেশজুড়ে। তবে এবার এই ধরনের পরামর্শদাতাদের উপর করা পদক্ষেপ করল সেবি। সম্প্রতি অনিবন্ধীকৃত (Unregisterd) ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে সেবি (SEBI Update)। ব্রোকার এবং এজেন্টদের সঙ্গে এবার আর কোনও সম্পর্ক রাখতে পারবেন না ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সাররা (Financial Influencer)। বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে সেবি।


একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে জানাতে গিয়ে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বাক (Madhabi Puri Buch) জানান, 'আমরা যাদের নিয়মের অধীনে আনি না, তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।' তিনি আরও বলেন যে, রেগুলেশনের আওতায় পড়ে এমন কোনও সংস্থা কোনওভাবেই যেন আনরেজিস্টার্ড কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আর এমন যদি কখনও ঘটতে দেখা যায়, তাহলে আইন লঙ্ঘন করছেন বলেই ধরে নেওয়া হবে। মাধবী পুরী জানান, সেবি চেষ্টা করছে যাতে রেগুলেটেড অ্যাডভাইসর এবং আনরেজিস্টার্ড এনটিটির মধ্যে একটি বিশদ ফারাক থাকা দরকার। এতে বিনিয়োগকারীরাও জানতে পারবেন যে তারা রেগুলেটেড সংস্থার সঙ্গেই কাজ করছেন বা বিনিয়োগ করছেন।


সাম্প্রতিক সময়ে সেবি ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে। বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তিকর এবং পক্ষপাতদুষ্ট মতামত বা পরামর্শ দেওয়ার কারণে ঝুঁকি বাড়ছে। সেবির কাছে এমন অনেক অভিযোগও জমা পড়েছে। এই আর্থিক প্রভাবশালীরা কমিশন-ভিত্তিক মডেলে কাজ করে। আর বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন, তাই ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।


ফিউচার্স এবং অপশন ট্রেডিং সংক্রান্ত ক্ষেত্রে খুচরো বিনিয়োগকারীদের যোগদান বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে সেবির। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে মাধবী পুরী বাক জানান, ফিউচার্স এবং অপশনসে ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেকক্ষেত্রেই এক্সপায়ারির দিনে ফাটকাবাজির মত বিনিয়োগ করছেন বহু মানুষ, তাও কোনও হেজিং ছাড়া।


সেবি প্রধান এও জানান যে মানুষ ঋণ নিয়েও ফিউচার্স ও অপশনে টাকা ঢালছেন। পরিবারের সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ এভাবে হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। তিনি জানান, ডেরিভেটিভ সেগমেন্টের টার্নওভার ২০১৮ সালে ছিল ২১০ লক্ষ কোটি টাকা, সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০০ লক্ষ কোটি টাকা। এই মার্কেটে খুচরো বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে।


আরও পড়ুন: Stock To Watch: এই স্টকগুলিতে আজ বড় খবর, না জেনে কিনলে ভুগবেন