নয়াদিল্লি: আগামী ৫ বছরে দেশে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন ও তার যন্ত্রাংশ তৈরি হবে প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিমে (পিএলআই)র আওতায়। এব্য়াপারে প্রায় ২২টি কোম্পানি ওই স্কিমের আওতায় আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কোম্পানিগুলি আগামী ৫ বছরে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ও তার সামগ্রী বানাবে, তার মধ্যে ৭ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানান তিনি। এইসব কোম্পানি তিন লক্ষ প্রত্যক্ষ ও আরও প্রায় ৯ লক্ষ পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলেও জানান তিনি।
গালোয়ানে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ উঠেছে। সেই আবহেই প্রসাদের আজকের ঘোষণা। যদিও তিনি জানান, এই স্কিম কোনও বিশেষ দেশের বিরুদ্ধে নয়, তা কেবলমাত্র ইন্ডিয়া পজিটিভ। প্রসাদ বলেন, কোনও দেশের নাম করতে চাই না আমি। আমাদের নিরাপত্তা, সীমান্তবর্তী দেশগুলির ব্যাপারে যথাযথ নিয়মাবলী, নিয়ন্ত্রণ আছে, সেগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশাবাদী। ভ্যালু চেন বরাবর একটা শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরির, পাশাপাশি গ্লোবাল ভ্যালু চেনের সঙ্গে সংযুক্তির লক্ষ্য আছে আমাদের, যাতে দেশে ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করা যায়।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানি ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের আবেদনের মাপকাঠিতে পিএলআই স্কিম বিরাট সফল বলে দাবি করেন প্রসাদ। পিএলআই স্কিমে ভারতে তৈরি পণ্যের সেগমেন্টে সক্ষম কোম্পানিগুলিকে ৫ বছর ধরে পণ্যের ইনক্রিমেন্টাল সেলসের (বেস ইয়ার) ওপর ৪ থেকে ৬ শতাংশ ইনসেনটিভ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই স্কিম ঘোষিত হয় গত ১ এপ্রিল।
মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ৫ বছরে এই স্কিমে মোট প্রায় ১১.৫ লক্ষ কোটি টাকার উত্পাদনের আশা করা হচ্ছে। মোট উত্পাদনের মধ্যে মোবাইল ফোন (১৫০০০ টাকা ও তার ওপরে ইনভয়েস ভ্যালু) সেগমেন্টের আওতায় কোম্পানিগুলি ৯ লক্ষ কোটি টাকার বেশি উত্পাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশীয় মোবাইল কোম্পানিগুলি প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার উত্পাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর বিশেষ ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ সেগমেন্টে ৪৫০০০ কোটি টাকার বেশি উত্পাদনের প্রস্তাব দিয়েছে।
এই স্কিম ভারতকে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাণের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র করে তুলতে সাহায্য করবে, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পকে মজবুত করবে বলেও জানান প্রসাদ।