নয়াদিল্লি: পরিসংখ্যান বলছে, ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তি, এমন ধনকুবেরের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশে। তরুণ প্রজন্মের ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাও দ্রুত উন্নতি করছেন। ২০২৪ সালে ধনকুবেরদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ২৫ জন এমন ধনকুবের রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৩৩ ছাড়ায়নি। কেউ উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল সম্পত্তি পেয়েছেন, কেউ আবার নিজেই নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। (Forbes Billionaires List 2024)


এই তালিকায় দু'টি নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, জাহান মিস্ত্রি এবং ফিরোজ মিস্ত্রি। TATA Sons-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির ছেলে তাঁরা। দু'জনেরই বয়স এখনও ৩০ পেরোয়নি। এই মুহূর্তে তাঁদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান সাইরাস। বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে বিপুল সম্পত্তি পেয়েছেন জাহান এবং ফিরোজ। (Zahan Mistry-Firoz Mistry)


সাইরাসের এক ছেলে জাহানের বয়স ২৫ বছর। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ পেয়েছেন জাহান। পাশাপাশি, TATA Sons-এ যে শেয়ার ছিল তাঁদের, তার কিছু শতাংশ জাহানের কাছে গিয়েছে। ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা জাহানের। মুম্বইয়ে পারিবারিক নির্মাণ সংস্থা Shapoorji Pallonji Group-এও ২৫ শতাংশ অংশাদারিত্ব রয়েছে তাঁর। ওই সংস্থার চেয়ারম্যান তাঁর কাকা শাপুর মিস্ত্রি। আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব রয়েছে জাহানের। তিনি মুম্বইয়ে থাকেন। 


আরও পড়ুন: Bandhan Bank: অবসর নেবেন বন্ধন ব্যাঙ্কের সিইও তথা এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষ, এবার আরও বড় দায়িত্বে


সাইরাসের অন্য ছেলে ফিরোজের বয়স ২৭ বছর। তিনিই সাইরাসের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনিও TATA Sons-এর কিছু শতাংশ শেয়ার পেয়েছেন। Shapoorji Pallonji Group-এও ২৫ শতাংশ অংশাদারিত্ব রয়েছে তাঁরও। Afcons Infrastructure নামের একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ফিরোজ। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক থেকে পড়াশোনা করেছেন। আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব আছে তাঁরও। মুম্বইয়ে থেকে পারিবারিক ব্যবসা সামলান। জাহান এবং ফিরোজ, দু'জনই ৪৯০ কোটি ডলার করে পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে।


গত ১৮ মাস ধরে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জাহান এবং ফিরোজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কার্যনির্বাহীর পদে আসীন হন। তাঁদের ঠাকুরদা পালোনজি মিস্ত্রির হাতেই পরিবারের বিরাট সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা। তবে জাহান এবং ফিরোজই শুধু নন,  ইতালির ১৯ বছরের ক্লেমেন্তে দেল ভেচিও পৃথিবীর কনিষ্ঠতম ধনকুবের। বাবার মৃত্যুর পর পৃথিবীর বৃহত্তম চশমা সংস্থা EssilorLuxottica-র উত্তরাধিকারী তিনি।