Gold Bond: সোনা কেনার বদলে যে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা গোল্ড বন্ড কেনেন, তাদের জন্য খারাপ খবর আসতে চলেছে। সরকারি গোল্ড বন্ডে আর হয়ত বিনিয়োগ করা যাবে না। কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি সোভরেইন গোল্ড বন্ড বন্ধ করার কথা ভাবছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও অফিসিয়াল আপডেট আসেনি। কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পকে ব্যয়বহুল বলে মনে করছে। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, ভারত সরকার এই সোভরেইন গোল্ড বন্ড বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ অনেকেই মনে করছেন যে সরকারের কাছে এই প্রকল্প বেশ ব্যয়বহুল এবং জটিল। আর এই খবর সত্যি হলে সোভরেইন গোল্ড বন্ড স্কিমের দশ বছরও পূর্ণ হবে না।


সোনার বন্ডে বিনিয়োগ করে টাকা দ্বিগুণ হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। সোনার আমদানিতে রাশ টানতে কেন্দ্র সরকার ২০১৫ সালের শেষ দিকে এই সোভরেইন গোল্ড বন্ড চালু করেছিল। সরকারের পক্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই সোভরেইন গোল্ড বন্ড চালু করে, পরিচালনা করে। সেই সময় থেকেই বহুলভাবে বিনিয়োগকারীরা এই স্কিম থেকে উপকৃত হচ্ছিলেন। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে অনেক বিনিয়োগকারীর টাকা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এই স্কিমে অনেক বেশি কর ছাড়ের সুবিধে পাওয়া যায়। এর কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল এই স্কিম।


সোভরেইন গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা একইসঙ্গে অনেক সুবিধে পান। প্রথমত এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে তাদের টাকা বাজারে সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুপাতেই বাড়ে। বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের উপর প্রতি বছর ২.৫ শতাংশ সুদ পান। গোল্ড বন্ড ম্যাচিওর করার পর বিনিয়োগকারীদের হাতে যে টাকা আসে তা সম্পূর্ণরূপে করমুক্ত। এছাড়া অনলাইনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড়ও পান বিনিয়োগকারীরা।


সোনার বার, কয়েন বা গয়না কেনার থেকে মুক্তি। সোনার এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে সোনার গয়না, কয়েন বা বার কেনা কিংবা সেই সোনা রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যে বিনিয়োগকারীরা সোনা কিনছেন তাদের কাছে সবথেকে বড় অসুবিধে হল সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা, যে কারণে বিক্রির সময় উপযুক্ত দাম পাওয়া যায় না। গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে এমন কোনও চিন্তার বিষয় নেই। সোনা কিনে রাখাটাও একটা বড় সমস্যার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে কোনও মেকিং চার্জ লাগছে না, জিএসটি দিতে হচ্ছে না। শেয়ারের মত বাজারে এই বন্ড বেচা-কেনাও করা যায়।



আরও পড়ুন: Adani Group: অম্বুজা সিমেন্টে স্টেক বিক্রি করবেন আদানি, ৪২০০ কোটি টাকা তুলতে চায় সংস্থা