Govt On Spam Calls: অহেতুক কলে তিতিবিরক্ত আপনি। বিভিন্ন কোম্পানির কলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে নিত্যদিনের জীবনে। শীঘ্রই এই ধরনের স্প্যাম কল (Spam Call) থেকে পাবেন মুক্তি ?  

কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকারঅতীতেও স্প্যাম কল বন্ধ করতে চেষ্টা করেছে সরকার। যদিও সরকারি ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিপণন সংস্থাগুলি সর্বদা ত্রুটি খুঁজে তা কাজে লাগায়। এখন সরকার স্প্যাম কল নিয়ন্ত্রণে নতুন নিয়ম তৈরি করছে। শোনা যাচ্ছে, নতুন নির্দেশিকা আরও কঠোর হবে। স্প্যাম কল প্রতিরোধে বড় ব্যাবস্থা নেবে সরকার। সম্প্রতি, টেলিকম সেক্টর নিয়ন্ত্রক TRAI সব সংস্থাকে ফোনে  নাম দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের কাছে এমন বৈশিষ্ট্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল আগেই।

কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সভাসম্প্রতি এই বিষয়ে  উপভোক্তা বিষয়ক দফতর চলতি বছরের শুরুতেই একটি বৈঠক করে। অবৈধ বিপণন কল প্রতিরোধে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি নতুন নির্দেশ বা খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি 10 মে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছিল। উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের সচিব নিধি খারে, টেলিকম বিভাগ, TRAI, সেলুলার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, বিএসএনএল, ভোডাফোন, রিলায়েন্স এবং এয়ারটেলের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

স্প্যাম কল ও মেসেজের সংজ্ঞা ঠিক করেছে সরকারএবার থেকে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে খসড়া নির্দেশিকায় অনেক শর্ত যুক্ত করা হবে। এর পাশাপাশি অহেতুক কল ও মেসেজের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ধরনের কল ও মেসেজ প্রতিরোধে কমিটি অনেক সুপারিশ পেয়েছিল। খসড়া তৈরির সময় এগুলিও মাথায় রাখা হয়েছে। এখন উপভোক্তা বিষয়ক দফতরকে এই নির্দেশিকা অনুমোদন করতে হবে।

ডিজিটাল কনসেন্ট অধিগ্রহণ ব্যবস্থা তৈরির জন্য নির্দেশনওই বৈঠকে কমিটি জানিয়েছে, এই ধরনের কল ও গ্রাহকদের হয়রানি হচ্ছে। তাদের প্রতিরোধ জরুরি। TRAI এবং টেলিকম দফতরের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি। কমিটি ব্যাঙ্ক, আর্থিক কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং ট্রেডিং কোম্পানিগুলোকে ডিজিটাল কনসেন্ট অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (ডিসিএ সিস্টেম) তৈরি করতে বলেছে। এর আওতায় গ্রাহক নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে তিনি অহেতুক কল নিতে চান কি চান না।  

আরও পড়ুন: Tata Motors: সোমে ৯ শতাংশ ধসে মঙ্গলে সবুজে ঘুরল টাটা মোটরস, হোল্ড না সেল করবেন ?