ব্যারাকপুর: নবরাত্রির আগে মাছ খাওয়া নিয়ে  মোদির মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। মোদির মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। শ্রাবণ ও নবরাত্রিতে অনেকের মধ্যে নিরামিষ খাওয়ার রীতি আছে। সেই সময় মাছ-মাংস খাওয়াকে ‘মোগলদের মানসিকতা’বলে কটাক্ষ করেছিলেন মোদি ( Navaratri ) । আর তারপরই গর্জে ওঠেন বিজেপি বিরোধীরা। নিজের ইচ্ছ মতো খাওয়ার অধিকার সকলেরই আছে , বলে সওয়াল করেন বহু নেটিজেনও।


বাঙালিয়ানার সঙ্গে মাছের যোগ অতি নিবিড়। কথাতেই আছে , মাছে-ভাতে বাঙালি। তাই মোদির এই মাছ-মাংস খাওয়া নিয়ে বক্তব্যকে  ইদানিং ভোট প্রচারের  হাতিয়ার করেছে তৃণমূল । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) , সকলেই মোদির এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে এরূপ মন্তব্যকে ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। 


লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যারাকপুরে গিয়েও মমতা এই মাছ-মন্তব্য টেনে কটাক্ষ করেন মোদিকে।  'মোদি এখন বলে বেড়াচ্ছেন, মাছ খাবেন না, মাংস খাবেন না, ডিম খাবেন না। তাহলে কি ব্য়াঙের ছাতা খাবে? আপনি জোগাড় করে দিন।' তিনি আরও বলেন,'যার যা ইচ্ছে খাবে। এ দেশ আমাদের সকলের।'               


এরপরও তৃণমূল নেত্রী বলেন, সবাই নিজেদের রুচি অনুসারে খান। সেই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কেউ কথা বলবে কেন , প্রশ্ন তোলেন মমতা। এরপর তিনি রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রীকে মাছ খাওয়ার আমন্ত্রণও জানান। বলেন, 'মোদিবাবু,আপনি খেয়ে একটু খেয়ে দেখুন না,স্বাদটা কেমন। খেয়ে দেখবেন? তৈরি করে দেব? কথা দিচ্ছি, কাউকে দিয়ে করাব না। নিজে রান্না করব।' 



যদিও সেই সঙ্গে মমতা বলেন, কেউ চিংড়ির মালাইকারি ভালবাসে, কেউ আবার পটল চিংড়ি। যদি মোদি বলেন, তিনি ধোকলা-ধোসাও খেতে রাজি !                                             


আরও পড়ুন : সঙ্কটের মেঘ কাটাবে জ্যৈষ্ঠ-মঙ্গলবারে এইভাবে বজরঙ্গবলীর আরাধনা 


এদিন ফের মোদির গ্যারান্টিকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, 'আমাদের গ্যারান্টি হান্ড্রেড পারসেন্ট গ্যারান্টি। মোদির গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি। আমার বলেছিলাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে দেব, ক্রেডিট কার্ড করে দেব। আমরা যা বলি করি। বিজেপি হচ্ছে ভাজপা ওয়াশিং মেশিন। মেশিনে ঢুকিয়ে সাদা করে নিয়ে আসছে। '