SBI Lending Rate: ভারতের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি তাদের গ্রাহকদের জন্য একটা বড় দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে। এসবিআইয়ের (SBI EMI Hike) গ্রাহকদের এবার আর স্বস্তি নেই। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI EMI) তাদের MCLR ১০ বেসিস পয়েন্ট হারে বাড়িয়েছে অর্থাৎ ০.১ পয়েন্ট বেড়েছে এই MCLR। এর ফলে বাড়তে চলেছে গ্রাহকদের ঋণের উপর সুদও। MCLR-এর উপর ভিত্তি করে যে সমস্ত ঋণ মঞ্জুর হয়েছে, তার EMI বাড়তে চলেছে। কী বদল হল সুদের হারে ?


১৫ জুন থেকে কার্যকর হবে এই নতুন নিয়ম


স্টেট ব্যাঙ্কের (SBI EMI Hike) ওয়েবসাইট অনুসারে এই নতুন MCLR আজ শনিবার ১৫ জুন থেকেই কার্যকর হতে চলেছে। এই পরিবর্তনের ফলে ১ বছরের MCLR ৮.৬৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৮.৭৫ শতাংশ। ওভারনাইট এমসিএলআর এখন ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৮.১০ শতাংশ। এক মাস ও ৩ মাসের এমসিএলআর এখন ৮.২০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮.৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ৬ মাসের জন্য MCLR রেট ৮.৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬৫ শতাংশ।


বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঋণ যুক্ত থাকে এই এক বছরের এমসিএলআর রেটের সঙ্গে। দুই বছর এবং তিন বছরের এমসিএলআরও ১০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৮.৮৫ শতাংশ এবং ৮.৯৫ শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সাধারণত হোম লোন বা গাড়ির লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে EBLR এবং RLLR-এর উপর একটি ক্রেডিট রিস্ক প্রিমিয়াম জুড়ে দেয়।


বন্ড থেকে সংগ্রহ করেছে ১০০ মিলিয়ন ডলার


ইতিমধ্যেই শুক্রবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI EMI Hike) জানিয়েছে যে, এই ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ১০০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩০ কোটি) বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করার কাজ শেষ করেছে। এর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ব্যবসায়িক উন্নয়নের কাজ করা হবে। সিনিয়র আনসিকিওরড ফ্লোটিং রেট নোটের ভিত্তিতে ৩ বছরের ম্যাচিওরিটি সহ এই ফান্ড সংগ্রহ করা হয়েছে।


রেপো রেটের ভিত্তিতে ধার্য হয় ঋণের সুদ


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটে (Repo Rate) কোনও বদল আনলে তা সরাসরি EBLR-র সঙ্গে যুক্ত ঋণের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়া ব্যাঙ্কগুলি পর্যালোচনা করে এমসিএলআর-এর অধীনে। MCLR-এর অর্থ হল ন্যূনতম যে খরচের কমে ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে পারবে না। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতির বৈঠকে অষ্টমবারের মত রেপো রেট একই রাখা হয়েছে ৬.৫ শতাংশে। এর ফলে সাধারণভাবে হোম লোন বা গাড়ির লোনে ইএমআইয়ের বোঝা কমবে না গ্রাহকদের।  


আরও পড়ুন: Mahindra & Mahindra: ধাক্কা টাটা মোটর্সকে! গাড়িবাজারে একলাফে দ্বিতীয় স্থানে আরেক দেশীয় সংস্থা