Share Market Update: আজ বাজার খুলতে পারে দারুণ গতিতে। নিফটি, সেনসেক্স দেখা যেতে পারে দুরন্ত উত্থান। আমেরিকার অর্থনীতির প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি কমতেই আশা জাগছে বিনিয়োগকারীদের মধ্য়ে। মার্কিন মুলুকে চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।


US Inflation Data: আমেরিকার অর্থনীতিতে হঠাৎ জোয়ার ?


আমেরিকার অর্থনীতির জন্য ভাল খবর। পুরো বিশ্বের আর্থিক বাজারে স্বস্তি দিতে পারে এই নিউজ। জানুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। আজ ইউএস কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে । পরিসংখ্যান বলছে,  জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ডিসেম্বরে ৬.৫ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৬.৪ শতাংশে। যদিও লেবার স্ট্যাটিসস্টিক্স ব্যুরো অনুসারে, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার পরিমাপের জন্য নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই আশাপ্রদ ফল দেখছে  দেশ।


US Financial Update: কী বলছে মার্কিন অর্থনীতির তথ্য় ?


আমেরিকায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৫ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এই হার ২০২১ সালের অক্টোবরের তুলনায় খুব কম। সেই সময় খাদ্য খরচ ছিল ১০.১ শতাংশ। গত বছরের জুনে, মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও এরপর থেকেই আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।


Share Market : আজ ভারতের বাজারে কী হতে পারে ?


বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার বাজারের মুদ্রাস্ফীতির হার সামান্য কমায় প্রভাব পড়তে পারে ভারতের বাজারে। সেই ক্ষেত্রে নিফটি ও সেনসেক্সে বড় উত্থান দেখা যেতে পারে আজ। তবে সেই ক্ষেত্রে বড় ব্লুচিপ স্টকের দিকেই লক্ষ্য় রাখা ভাল। মূলত, আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলা এখনও থিতু না হওয়ায় ঝুঁকি থাকতে পারে মিডক্য়াপ ও স্মলক্যাপ মার্কেটে। বিনিয়োগকারীরা আজ ফের নিফটিকে ১৮,০০০ পয়েন্টের দিকে যেতে দেখতে পারেন।


US Inflation Data: কী বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা ?


বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে এটি ফেডারেল রিজার্ভ বা মার্কিন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় জানুয়ারি মাসে কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান বেশ ভাল অবস্থায় রয়েছে।  জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫,১৭,০০০ নতুন চাকরি হয়েছে, ফলে বেকারত্বের হার ৩.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ৫৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।


Stock Market Update: অতীতে আমেরিকায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হারের কারণে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ ক্রমাগত সেখানে ঋণে সুদের হার বাড়িয়েছিল। যে কারণে আমেরিকাসহ বিশ্বের শেয়ারবাজারে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। সেই কারণে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে অনেকেই মার্কিন শেয়ার বাজার ডাও জোন্স বা ন্যাসড্যাকে রাখতে শুরু করেন। 


US Share Market : কী বলছে আমেরিকার বাজার ?


তবে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও আমেরিকার ব্যয়বহুল ঋণ থেকে রেহাই পাওয়ার আশা নেই এখনই। ১ ফেব্রুয়ারি, ফেড রিজার্ভ সুদের হার এক চতুর্থাংশ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে । এই প্রক্রিয়া আগামী দিনগুলিতে অব্যাহত থাকবে বলেছে ফেডারেল ব্যাঙ্ক। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৪০ বছরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল, যার পরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ ক্রমাগত ঋণের দাম বাড়িয়ে চলেছে।


তবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় সুদের হার বাড়ানো অব্যাহত রাখলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বছর আংশিক মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যয়বহুল ঋণের মাধ্যমে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমাতে চায়, যাতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ সস্তা ঋণের কারণে মানুষ দামি জিনিস কেনার পাশাপাশি বাড়ি-গাড়ির কেনাকাটা করবে। তাই সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।