নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় চলতি মার্চ মাসে হুহু করে বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের বিক্রয়। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ফের বাড়তে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। আর এর জেরেই মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনেই দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের বিক্রয় মহামারী-পূর্বের স্তর ছাড়িয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কারা কারণেই গ্রাহক ও ডিলাররা গাড়ির ট্যাঙ্ক ভরে রাখতে শুরু করেন। শিল্প মহলের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলিকে পেট্রোলের বিক্রয় গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্য়ে ছিল ১২.৩ লক্ষ টন, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। আর ২০১৯-র তুলনায় ২৪.৪ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাজারের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির দখলে। 


একই সময়ে ডিজেলের বিক্রয় বার্ষিক ভিত্তিতে ২৩.৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫.৩ লক্ষ টন, যা ২০১৯-র তুলনায় ১৭.৩ শতাংশ বেশি।  যে তথ্য জানা গিয়েছে, তা অনুসারে, ২০২০ সালের ১-১৫ মার্চের তুলনায় এ বছর এই সময় পর্বে পেট্রোল ২৪.৩ শতাংশ ও ডিজেলের ৩৩.৫ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে। একইসঙ্গে গতমাসের তুলনায় পেট্রোলের বিক্রি বেড়েছে ১৮.৮ শতাংশ এবং ডিজেলের বিক্রি বেড়েছে ৩২.৮ শতাংশ। 


উল্লেখ্য, গত সোমবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ পুরী বলেছিলেন যে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ার আগে নিজেদের গাড়ির জ্বালানির ট্যাঙ্ক ভরে নেওয়ার মতো মন্তব্য সামনে এসেছিল। তারপর জ্বালানির বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। 


উল্লেখ্য, দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছু়া কমেছিল গত নভেম্বরে। কর হ্রাসের ফলে কমেছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এরপর থেকে আর জ্বালানির দামে কোনও পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। এরমধ্যেই ছিল উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুর-এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই সময় পর্বে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত ১৩২ দিন ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কোনও বদল হয়নি। ভোটের পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল।