Patanjali Wellness : রামের গুণ ও চরিত্র নিয়ে আসুন নিজের জীবনে ধ্বংস করুন নেতিবাচক চিন্তা। ৩১তম সন্ন্যাস দিবসে সমাজের জন্য যোগগুরু বাবা রামদেব দিলেন এই বার্তা।  সম্প্রতি হরিদ্বারের পতঞ্জলি ওয়েলনেসের যোগ ভবনে নবরাত্রি যজ্ঞ, বৈদিক আচার ও কন্যা পূজার আয়োজন হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে এই বার্তা দেন রামদেব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য বালকৃষ্ণ, যিনি স্বামী রামদেবকে মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান।


এদিন কী বলেন বাবা রামদেব
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, ভারত হল সনাতন সংস্কৃতি, ঋষি-বৈদিক ঐতিহ্য, রাম-কৃষ্ণ, মা ভবানী এবং আদি শক্তির দেশ। অতএব, অন্ধকার ও অবহেলার রাক্ষসদের বধ করুন, সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে ধ্বংস করুন ও নিজের মধ্যে রামের চরিত্র ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করুন।


সন্ন্যাসীর কী করা উচিত ? 
এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বামী রামদেব বলেন, তিনি সন্ন্যাসী হিসাবে ৩০ বছরের যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করেছেন। তাঁর সন্ন্যাসী জীবনের ৩১ তম বছরে প্রবেশ করছেন তিনি। তাঁর মতে,  একজন সন্ন্যাসীর একটিই কর্তব্য - যোগধর্মের মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম, সেবাধর্ম এবং যুগধর্মকে পালন করা। এই জাতিকে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতি প্রদান করা। তাই পতঞ্জলি যোগপীঠ ক্রমাগত সংস্কৃতি ভিত্তিক সমৃদ্ধির ধাপে ধাপে আরোহণ করছে।


হরিদ্বারের এই অনুষ্ঠানে বাবা রামদেব নবমী উপলক্ষে মেয়েদের পা ধুয়ে দেন। তাদের খাবার খাওয়ান ও আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। এদিনই ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির মর্যাদা বজায় রাখার জন্য নিজের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছেন যোগগুরু।


মা ভগবতী সকলের মঙ্গল করুক, বলেছেন আচার্য বালকৃষ্ণ
অনুষ্ঠানে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, বাবা রামদেব সন্ন্যাস গ্রহণ করে সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে গৌরব দিয়েছেন। ভারতের গৌরবময় ঐতিহ্যকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করিয়েছেন। তিনি বলেন, "ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সনাতন ধর্মে নবরাত্রির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। মা ভগবতী সকলের মঙ্গল করুক, সকলের জীবনে মঙ্গল, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও আনন্দ বয়ে আনুক।"


এ ছাড়াও আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, "কন্যা পুজোর মাধ্যমে আসুন আমরা আমাদের পাপ, মন্দ, খারাপ অভ্যাস ও পৈশাচিক প্রকৃতিকে জয় করি। পবিত্র নবরাত্রি ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অংশ। একে মহিমান্বিত ও বিজ্ঞানসম্মত করা আমাদের কর্তব্য।"