নয়াদিল্লি: লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। জ্বালানির জ্বালায় জেরবার হচ্ছেন নাগরিকরা। পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দূষণও। এই দুটি দিকই একসঙ্গে সামলাতে পারে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল (Electric Vehicle)। যত দিন যাচ্ছে, ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের প্রতি আকর্ষণও বাড়ছে গাড়ি ব্যবহারকারীদের। সেদিকে তাকিয়েই ধীরে ধীরে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরির দিকেই বেশি ঝুঁকছে সংস্থাগুলি। বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বাজার ধরতে প্রথম সারিতে রয়েছে ভারতের গাড়ি প্রস্ততকারক সংস্থা টাটাও (TATA)। ইতিমধ্যেই একাধিক বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে এনেছে টাটা। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে আরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটির তরফে। এবার আরও একটি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে চলেছে টাটা। নাম Tata Avinya.


ডিজাইন থেকে প্রযুক্তি, ফিচার থেকে গতি- সবদিক থেকেই সবচেয়ে আধুনিক হতে চলেছে টাটার নতুন এই বৈদ্যুতিক গাড়ি।      


Tata Avinya: ভবিষ্যতের জেন থ্রি ইভি আর্কিটেকচার প্ল্য়াটফর্ম (Gen 3 EV architecture platform) ব্যবহার হয়েছে এই গাড়িতে। গাড়ির আয়তন না বাড়িয়েও গাড়ির ভিতরের জায়গা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে টাটার তরফে বাজারে আনা হয়েছে Tata Curvv. তবে Tata Avinya একেবারেই আলাদা। ডিজাইনের দিক থেকে একদমই নতুন টাটার এই মডেল।




নামের কারণ:
গাড়ির অন্য মডেলগুলির নামের দিক থেকে একেবারেই আলাদা এই নামটি। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কৃত শব্দ অভিন্ন থেকে এই নাম এসেছে। যার অর্থ আবিষ্কার  বা উদ্ভাবন (Innovation). 


ডিজাইনে চমক:
SUV? নাকি MPV? নাকি হ্যাচব্যাক? Tata Avinya-এর ডিজাইন দেখে এই প্রশ্ন মনে আসবেই। আয়তনে বেশ বড় এই গাড়িটি সব মডেলেরই ছোঁয়া রয়েছে। যা একেবারেই নতুন। বেশ বড়সড় কেবিন স্পেস (cabin space) এবং কাচের ছাদ (Glass Roof) রয়েছে গাড়িতে। গাড়ির সামনে ও পিছনের ডিজাইনও একদমই নতুন করা হয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির মডেলের থেকে যা একেবারেই আলাদা। গাড়ির সামনে গ্রিলের আয়তন বেড়েছে। সামনে রয়েছে LED Light Bar, যেখানে টাটার লোগো থাকবে। এই মডেলের হেডলাইটের আয়তন একটু স্লিম হয়েছে। বেড়েছে চাকার আয়তন। এছাড়াও গাড়ির পাশে floating roof design রয়েছে। গাড়িটির পিছনেও রয়েছে LED Light Bar. এই গাড়িটির দরজাকে বাটারফ্লাই ডোর (Butterfly Door) বলা হচ্ছে।




নয়া ভাবনা:
অন্দরসজ্জায় কোনও বড় টাচস্ক্রিন রাখেনি টাটা। গাড়ির অন্দরে স্ক্রিনের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করেছে টাটা। একাধিক ছোটো ছোট স্ক্রিন রয়েছে গাড়িতে। তবে গাড়িতে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ভয়েস কমান্ড (Voice Command)। 
   
আধুনিক প্রযুক্তি:
Gen3 EV platform-এ ব্যাটারি তুলনায় অনেকটাই হালকা এবং কর্মক্ষমতা বেশি। এই প্ল্যাটফর্মের ওজনও কম।  ফলে সব মিলিয়ে গাড়ি অনেকটাই হালকা। তার সঙ্গেই চার্জও (fast charging) অত্যন্ত দ্রুত হবে। সংস্থা জানিয়েছে, মাত্র ৩০ মিনিটের চার্জে ৫০০ কিলোমিটার দৌড়বে গাড়ি।




কবে নামবে রাস্তায়?
আপাতত সব তৈরি থাকলেও এখনই রাস্তায় নামছে না এই গাড়ি। গাড়িটি তৈরি হতে হতে ২০২৫ সাল হবে। তখন সামনে আসবে আরও বেশ কিছু ফিচার।


আরও পড়ুন: দুটি নতুন রঙে এল টাটা হ্যারিয়ার, কত দাম হয়েছে জানেন ?