Upcoming IPO : অনেকদিন ধরেই এই আইপিও (Tata Capital IPO) আসার বিষয়ে খবর রটছিল বাজারে (Stock Market)। বিশেষ করে টাটা গ্রুপের (Tata Group) আইপিও (IPO) হওয়ায় আলাদা উৎসাহ রয়েছে এই আইপিও নিয়ে। এবার শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে আসতে চলেছে এই আইপিও।
কত তারিখ আসছে এই IPOআগামী সময়ে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য আয়ের দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। নন-ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) টাটা ক্যাপিটাল তাদের আইপিও আনছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে টাটা ক্যাপিটালের আইপিও চালু হতে চলেছে।
কী জানা যাচ্ছেসূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টাটা ক্যাপিটাল শেয়ার বাজারে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে এই ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানির মূল্যায়ন ১১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আইপিওতে ৪৭.৫৮ কোটি শেয়ার দেওয়া হবেআগস্টে দাখিল করা আপডেটেড ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (ডিআরএইচপি) অনুসারে, প্রস্তাবিত আইপিওতে মোট ৪৭.৫৮ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হবে। এর মধ্যে ২১ কোটি নতুন ইক্যুইটি শেয়ার এবং ২৬.৫৮ কোটি শেয়ার বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের দ্বারা অফার ফর সেল (ওএফএস) এর অধীনে বিক্রি করা হবে। আইপিওতে ওএফএস উইন্ডোর অধীনে টাটা সন্স ২৩ কোটি শেয়ার বিক্রি করবে, আর ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ৩.৫৮ কোটি শেয়ার বিক্রি করবে। বর্তমানে টাটা ক্যাপিটালে টাটা সন্স ৮৮.৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে, আর আইএফসির ১.৮ শতাংশ শেয়ার থাকে।
কেন শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রয়োজন?আইপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোম্পানির টিয়ার-১ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এবং ঋণ প্রদান সহ ভবিষ্যতের মূলধনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যবহার করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এটি দেশের আর্থিক ক্ষেত্রের বৃহত্তম পাবলিক ইস্যুতে পরিণত হবে।
আরবিআই নির্দেশিকা অনুসারে, টাটা ক্যাপিটালের শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আসলে, ২০২২ সালে, আরবিআই টাটা ক্যাপিটালকে একটি উচ্চ স্তরের এনবিএফসি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এই শ্রেণীর কোম্পানিগুলিকে তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং এখন টাটা ক্যাপিটাল এই নিয়মের অধীনে তালিকাভুক্ত হচ্ছে।
জুন ত্রৈমাসিকে কোম্পানির ফল২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুন ত্রৈমাসিকে কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ১,০৪১ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। একইভাবে, কোম্পানির মোট আয় ৬,৫৫৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭,৬৯২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০০৭ সালে গঠিত টাটা ক্যাপিটাল এখন পর্যন্ত ৭০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে পরিষেবা প্রদান করেছে। কোম্পানি বিমার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রাইভেট ইক্যুইটি তহবিল স্পনসর করে ও অ্যাসেট সার্ভিস দেয়।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)