Tata Sons:  টাটা গ্রুপ তাঁর আগামী ৫ বছরের স্ট্রাটেজি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছে সম্প্রতি। এই পরিকল্পনার অধীনে টাটা গ্রুপ দেশে (Tata Group) মোট ৫ লক্ষ চাকরি দেবে। কর্মসংস্থান তৈরি করবে। মূলত উৎপাদন সেক্টরেই এই চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি বলেন যে দেশের (Tata Sons) ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ৭.৪ শতাংশ হারে বেড়ে চলেছে। এর অধীনে ১৩ লক্ষ চাকরি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আগামী দিনে সেমিকন্ডাক্টর, বৈদ্যুতিন গাড়ি-বাইক, ব্যাটারি ও এই সম্পর্কিত ইন্ডাস্ট্রিতে আরও ৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগের কথা জানান এন চন্দ্রশেখরন।


ভারতের বিকাশে গুরুত্ব বাড়ছে উৎপাদন খাতের


টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন সম্প্রতি মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ফর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন তারা স্বপ্ন দেখছে যে ভারত একদিন বিকশিত হয়ে উঠবে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মত। আর এই বিকাশের পথে সবথেকে বড় গুরুত্ব রয়েছে উৎপাদন খাতের। এই খাতে কর্মসংস্থান তৈরি না করে কোনোভাবেই বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে না। প্রতি মাসে ১০ লক্ষ মানুষ ভারতের কর্মযজ্ঞে সামিল হন। আগামী দিনে আরো বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থানের কথা ভাবতে হবে, এমনটাই জানান তিনি।


এইসব খাতে বড় বিনিয়োগ করছে টাটা গ্রুপ


এন চন্দ্রশেখরন বলেন যে টাটা গ্রুপ মূলত সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বড় বিনিয়োগ করতে চলেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেক্টরেও বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছে এই সংস্থা। আগামী ৫ বছরে আরও ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায় সংস্থা। আসামে ইতিমধ্যেই একটি বিশাল সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে তুলেছে টাটা গ্রুপ। এছাড়াও ইভি ও ব্যাটারি উৎপাদন ক্ষেত্রেও বহু মানুষের চাকরি হয়েছে গত কয়েক বছরে। বর্তমানে আরও বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে টাটা গ্রুপ।


১০ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে


এন চন্দ্রশেখরন এদিন আরও বলেন যে ৫ লক্ষ চাকরি দিলে সেখান থেকে আরও কয়েক লক্ষ পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে ১১ লক্ষ চাকরি দেওয়া হয়েছে যা কিনা ২০২৩ সালে ১৩ লক্ষতে পরিণত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে সবথেকে বেশি দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র। এরপরেই উঠে আসে গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশের নাম।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: World Food Day: কেন পালন করা হয় 'বিশ্ব খাদ্য দিবস' ? জানেন এর ইতিহাস ?