নয়াদিল্লি: যাত্রী সুরক্ষার পরীক্ষায় শূ্ন্য পাওয়ায় এবার মারুতিকে (Maruti Suzuki) খোঁচা দিতে ছাড়ল না টাটা মোটরস (Tata Motors)। সম্প্রতি Latin NCAP Crash Test-এ ফেল করেছে (Maruti Suzuki Swift)। যারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোল যুদ্ধ।


Tata Motors trolls Maruti
ল্যাটিন এনসিএপি ক্র্যাশ টেস্টে মারুতি শূ্ন্য পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে টাটা মোটরস। মারুতিকে খোঁচা দিতে টাটা লিখেছে, “Latest NCAP safety test shows that it’s not safe to ride ‘Swift’ly,"'সুইফটলি' শব্দের মাধ্যমেই মারুতি সম্পর্কে যা বলার বলে দিয়েছে কোম্পানি। তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও হুন্ডাইয়ের গ্র্যান্ড আই১০ ছাড়াও মারুতি সুজুকি ওয়াগনআর নিয়ে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি টাটা মোটরস।


দেশের বর্তমান গাড়ি বাজার বলছে, ভারতে সুরক্ষার দিক দিয়ে এখন অনেক এগিয়ে টাটার গাড়ি। টাটা কম্প্যাক্ট এসইউভি নেক্সন থেকে শুরু করে হ্যাচব্যাক অল্টরোজ সবই গ্লোবাল এনক্যাপে ভালো ফল করেছে। সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে মারুতির গাড়ি।  


যাত্রী সুরক্ষায় ফেল মারুতি সুইফট (Maruti Suzuki Swift fails Latin NCAP Crash Test)
নতুন ভার্সন বাজারে আসার পর থেকেই মারুতি সুজুকি সুইফট নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না ক্রেতাদের মনে। ঝাঁ চকচকে ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়েজের জেরে সবার আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে যায় এই হ্যাচব্যাক। টানা কয়েক বছর হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে কোম্পানির সেরা বিক্রির তালিকায় ছিলSwift।তবে এবার NCAP Crash Test-এ শূন্য পেয়েছে এই গাড়ি। 


কী বলছে ক্র্যাশ টেস্ট ? (NCAP Crash Test)
ভারতে ছাড়াও জাপানে তৈরি হয় মারুতি সুজুকি সুইফট। দুটো ভার্সনেই ডুয়েল এয়ারব্যাগ স্ট্যানডার্ড দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও সব ধরনের সুরক্ষায় বাজে ফল করেছে Maruti Suzuki Swift। অ্যাডাল্ট অকুপেশন বক্সে ১৫.৫৩ নম্বর পেয়েছে গাড়ি। শূ্ন্য পেয়েছে চাইল্ড অকুপেন্ট বক্সে। পেডেস্টেরিয়ান প্রোটেকশন পেয়েছে ৬৬.৭ শতাংশ। Latin NCAP জানিয়েছে, কেবল সুইফট নয়, সুরক্ষায় একই অবস্থা এর সেডান ভার্সনের। হ্যাচব্যাকের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ 'সাইড ইমপ্যাক্ট প্রোটেকশন'। হেড প্রোটকশনের বিষয়ে খুবই খারাপ ফল দিয়েছে সুইফট। সুরক্ষা পরীক্ষক সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, দরজা খোলার স্টাইলের জন্য UN95-এর নিয়ম মানা হয়নি গাড়িতে। যা গাড়িকে আরও দুর্বল করেছে। 


গ্লোবাল এনক্যাপে কী স্কোর ছিল সুইফটের ? (Global NCAP Swift Result)   
তবে গ্লোবাল NCAP রেজাল্ট বলছে অন্য কথা। ২০১৮ সালে এই সুরক্ষা পরীক্ষক সংস্থার রেটিংয়ে ২স্টার পেয়েছিল Maruti Suzuki Swift। সেবারও ভারতের মডেলে ডুয়েল এয়ারব্যাগ স্ট্যানডার্ড হিসাবে দেওয়া ছিল গাড়িতে। তবে ইউরোপিয়ান মডেলে ৬টা এয়ারব্যাগ ছাড়াও সুরক্ষার জন্য Electronic Stability Control (ESC) দেওয়া হয়েছিল গাড়ির স্ট্যানডার্ড ভার্সনে। তবে ল্যাটিন আমেরিকায় সাইড বডি হেড এয়ারব্যাগ বা (ESC)সুরক্ষা দেওয়া হয়নি গাড়িতে। হতে পারে সেই কারণে শূন্য পেয়েছে গাড়ি। মনে রাখতে হবে, Latin NCAP আসলে Global NCAP-র দক্ষিণ আমেরিকার সহকারী সংস্থা।