IPO: মাঝে ছিল প্রায় ২০ বছরের ব্যবধান। বুধে ভারতের শেয়ার বাজারে আসতে চলেছে টাটা গ্রুপের (Tata Group) নতুন আইপিও(IPO)। টাটা টেকনোলজিসের এই আইপিও (Tata Technologies IPO) ঘিরে ইতিমধ্যেই উৎসাহ রয়েছে বিনিয়োগকারীদের(Investment)। 
 
কোম্পানির শেষ আইপিও এসেছিল ২০০২ সালে
চলতি সপ্তাহেই বেশ কয়েকটি আইপিও আসছে বাজারে। প্রায় ২০ বছর পর টাটার কোনও আইপিও আসায় শেয়ারবাজারের জন্য এটি বিশেষ সপ্তাহ বলে  প্রমাণিত হতে চলেছে। বছরের পর বছর ধরে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা যেটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তা এই সপ্তাহে পূরণ হতে যাচ্ছে। আমরা স্টক মার্কেটের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত আইপিও অর্থাৎ টাটা টেকনোলজিস আইপিও-র কথা বলছি। যা 22 নভেম্বর সাবস্ক্রিপশনের জন্য খুলতে চলেছে।


২২ নভেম্বর খুলছে আইপিও,২৪ নভেম্বর হবে বন্ধ
টাটা গ্রুপের এই আইপিও বিনিয়োগকারীদের জন্য 22 নভেম্বর খোলা হবে এবং 24 নভেম্বর পর্যন্ত বিড করা যাবে৷ এই আইপিওর জন্য 475 থেকে 500 টাকার প্রাইস ব্যান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি আইপিওতে টাটা টেকের 30টি শেয়ার রয়েছে৷ তার মানে এই আইপিওতে বিনিয়োগ করতে একজন খুচরো বিনিয়োগকারীর কমপক্ষে 15,000 টাকা প্রয়োজন।


লেনদেন শুরু হবে ৫ ডিসেম্বর থেকে
এই সপ্তাহের শেষ দিনে অর্থাৎ 24শে নভেম্বর বিডিং বন্ধ করার পর 30শে নভেম্বর টাটা টেক শেয়ার বরাদ্দ করা হবে৷ যে বিনিয়োগকারীরা IPO-তে ইউনিট পাবেন না, তাদের জন্য 1 ডিসেম্বরে ফেরত দেওয়া শুরু হবে। 4 ডিসেম্বর সফল দরদাতাদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে শেয়ার জমা হবে। স্টক মার্কেটে টাটা টেকনোলজিসের শেয়ার 5 ডিসেম্বর লিস্টিং হবে।


গ্রে মার্কেটে কত চলছে দাম
গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা সংস্থার শেয়ারগুলি গ্রে মার্কেটে প্রতি 850 টাকায় পাওয়া যাবে। যা প্রতি শেয়ার 500 টাকার উপরের প্রাইস ব্যান্ডের 70 শতাংশ প্রিমিয়ামে গ্রে মার্কেটে দর উঠেছে। গ্রে মার্কেট হল একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে আইপিও শেয়ারগুলি তালিকাভুক্তি পর্যন্ত কেনা-বেচা করা যায়।


নেতিবাচক বিষয়গুলিও জানা উচিত


টাটা টেকনোলজিসের এই আইপিওর ভিত্তি টাটা মোটরস লিমিটেড (TML) ও জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের (JLR)টোটাল অপারেটিং ইনকাম ( TOI)-এর প্রায় 40 শতাংশ। কোনও কোম্পানির ক্ষেত্রে এরকম বিশেষ কিছুর ওপর রাজস্ব নির্ভর করলে তা চিন্তার বিষয়।


এই ক্ষেত্রে কোম্পানির আয় অটো সেগমেন্টের ক্লায়েন্টদের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। যা কখনোই একটি সুস্থ সংস্থার ক্ষেত্রে সুখকর নয়।
কোম্পানির বেশিরভাগ আয় এখন অনেকটাই ইেলকট্রিক বা  নিউ এনার্জির যানবাহনের ওপর নির্ভরশীলা। যাদের মধ্যে অনেকগুলি স্টার্টআপ কোম্পানি। এই স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, ভবিষ্যৎ পণ্যের রোডম্যাপ,সংস্থার বৃদ্ধির ক্ষমতা, ঋণ ও মালিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।


TCS-Infy Share Price: টিসিএস-ইনফোসিসেসের শেয়ারে দুরন্ত গতি, এই কারণে আরও বাড়তে পারে দাম