নয়াদিল্লি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎচালিত গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলা আগামী বছরের গোড়া থেকেই ভারতে কাজ শুরু করে দেবে। একটি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ী। তাঁর কথা অনুযায়ী, প্রথমে বাইরে থেকে গাড়ি এনে ভারতে শুধু বিক্রি করবে টেসলা। পরবর্তীকালে এই সংস্থা ভারতে গাড়ি তৈরির কারখানাও খুলতে পারে। এদেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বিক্রি কেমন হচ্ছে, তার উপরেই সবকিছু নির্ভর করছে।


এই অনুষ্ঠানে ফের দেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন গড়কড়ী। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভারতে বিভিন্ন সংস্থা ব্যাটারিচালিত গাড়ি তৈরির কাজ চালাচ্ছে। এই ধরনের গাড়ি পরিবেশবান্ধব। আগামী পাঁচ বছরে ভারতই গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এক নম্বর দেশ হয়ে উঠবে।’

সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেই ভারতের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাশ্রয়ী গাড়ি ‘মডেল ৩’ আনতে চলেছে টেসলা। আগামী মাস থেকেই এই গাড়ির বুকিংও শুরু হয়ে যেতে পারে। এদেশের কোনও সংস্থার উপর নির্ভর না করে টেসলা সরাসরি গাড়ি বিক্রি করবে। বিভিন্ন দেশে এভাবেই গাড়ি বিক্রি করে এই মার্কিন সংস্থা। অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন ক্রেতারা। এরপর সরাসরি তাঁদের কাছে গাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ভারতে টেসলার গাড়ির দাম শুরু হতে পারে ৫৫ লক্ষ টাকা থেকে।

এ বছরের অক্টোবরে টেসলা সংস্থার সিইও এলন মাস্ক ট্যুইট করে জানান, ২০২১-এ ভারতের বাজারে প্রবেশ করবে তাঁর সংস্থা। এরপর শোনা যায়, বেঙ্গালুরুতে একটি দফতর খোলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে টেসলা। দু’দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে পরে শোনা যায়, কেরল বা মহারাষ্ট্রে প্রথম দফতর খুলতে পারে টেসলা। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

কয়েকদিন আগেই গড়কড়ী জানিয়েছেন, টোলের ক্ষেত্রে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম চালু হবে সারা দেশে। প্রযুক্তির সাহায্যে সংগ্রহ করা হবে টোল। যার মাধ্যমে সারা দেশে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে টোল বুথ ফ্রি হবে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। টোলের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। সব বাণিজ্যিক যান ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় চলে আসবে। পুরনো গাড়িতে জিপিএস প্রযুক্তি কীভাবে সংযুক্ত করা যায় তা পর্যালোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।