ওয়াশিংটন: পদত্যাগ করলেন টিকটক সিইও কেভিন মেয়ার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের মধ্য়ে টিকটকের মূল পরিচালনাকারী কোম্পানি বাইটডান্স আমেরিকায় তাদের ব্যবসা কোনও মার্কিন কোম্পানিকে বেচে না দিলে টিকটক নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মার্কিন চাপের মধ্যে সরলেন মেয়ার। কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে ‘রাজনৈতিক আবহাওয়া পুরোপুরি বদলে যাওয়া’র প্রেক্ষিতে তাঁর বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মেয়ার। তিনি বলেছেন, কর্পোরেট কাঠামোগত বদলের জন্য কী কী প্রয়োজন এবং আমি দুনিয়াব্য়াপী যে ভূমিকা পালনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম, তাতে এর কী প্রভাব পড়বে, সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাচিন্তা করেছি। এই প্রেক্ষাপটে এবং খুব শীঘ্রই যখন আমরা একটা সমাধানে পৌঁছনোর প্রত্য়াশা করছি, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের জানাতে চাই, আমি এই কোম্পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রসঙ্গত, বাইটডান্স এখন টিকটকের মার্কিন মুলুকের ব্যবসা কিনে নেওয়ার ব্য়াপারে মাইক্রোসফটের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে।
প্রাক্তন ডিজনি এক্সিকিউটিভ মেয়ার গত মে মাসে টিকটকের সিইও হিসাবে যোগ দেন। টিকটক বিবৃতিতে মেয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছে, আমরা বুঝতে পারছি, গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক ঘটনাবলী আগামীদিনে কেভিনের ভূমিকার ক্ষেত্রটি অনেকটা বদলে দিয়েছে। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সম্মান করি।
বাইটডান্স ২০১৭-য় টিকটিক চালু করে, পরে মিউজিক্যাল ডট লি নামে একটি ভিডিও পরিষেবাও কেনে, যেটি আমেরিকা, ইউরোপে অল্পবয়সিদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। পরে দুটি সংস্থা মিশে যায়। এর পাশাপাশি চিনা খদ্দেরদের জন্য় ডাউইন নামে একটি পরিষেবাও চালু করে বাইটডান্স।
টিকটিক মজাদার ভিডিও পোস্ট করার মঞ্চ, সহজে ব্যবহার করা যায় বলে দুনিয়াব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু তার চিনা মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন এই আশঙ্কায় যে, তাদের ভিডিওয় সেন্সরসিপ জারি হতে পারে, চিনা সরকারের সমালোচকদের ওপর কোপ পড়তে পারে, বেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়েও নিতে পারে।
চলতি মাসেই ট্রাম্প টিকটক, উইচ্যাটের মতো অ্য়াপের চিনা মালিকদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কার উল্লেখ করে চিনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির স্ক্রুটিনি জোরদার করে আমেরিকা।