Amul Ghee: তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুর সঙ্গে মেশানো পশুর চর্বি, এই বিতর্ক এখন তুঙ্গে সারা দেশজুড়ে। আর সেই বিতর্কের মধ্যেই তিরুপতি কান্ডের (Tirupati Laddu Issue) সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আমূল ইন্ডিয়ার নাম। সমাজমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল যে এই লাড্ডু বানানোর জন্য ঘি (Amul Ghee) সরবরাহ করত আমূল। কিন্তু গতকাল শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর আমূল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় যে তিরুপতির লাড্ডুর সঙ্গে তাদের সংস্থার ঘিয়ের কোনও সংযোগ নেই। তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে তারা কখনও ঘি সরবরাহ করেনি, এমনটাই দাবি করেছে সংস্থা আর এই মর্মে সমাজমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে FIR-ও দায়ের করেছে আমূল ইন্ডিয়া।


৩৬ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই এই গুজবে প্রভাবিত হয়েছেন


গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন যা কিনা মূলত এই আমূল ব্র্যান্ড পরিচালনা করে, আবারও সকলকে সতর্ক করে জানিয়েছে যে তিরুপতির লাড্ডুকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে আমূলের কোনও যোগ নেই। এই ফেডারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়েন মেহতা জানিয়েছেন এই সংস্থার সঙ্গে জুড়ে আছেন ৩৬ লক্ষ দুগ্ধ উৎপাদনকারী। এই ধরনের গুজব ছড়ালে তাদের উপর এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। পুলিশ ইতিমধ্যেই ৭ জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীকে গ্রেফতার করেছে ভুয়ো খবর এবং গুজব ছড়ানোর জন্য। পুলিশি মামলায় জানানো হয়েছে এই সাত সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী প্রচার করছিল যে তিরুপতির লাড্ডু প্রসাদে মেশানো হত আমূলের ঘি। মিল্ক ফেডারেশনের সম্মানহানির জন্যই এই অপপ্রচার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।



তিরুপতি মন্দিরে কখনও ঘি সরবরাহ করেনি আমূল


এর আগে সমাজমাধ্যমে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে আমূল ইন্ডিয়া জানিয়েছিল যে তিরুপতি মন্দিরে কখনই আমূল ইন্ডিয়া ঘি বা দুগ্ধজাত কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। এই সংস্থার ঘি নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই তৈরি করা হয়। এই ঘিয়ে ভেজাল থাকার কোনও সম্ভাবনাই নেই। আমূল ঘি উৎপাদনের জন্য ISO নিবন্ধীত ও অনুমোদিত একটি কারখানাও রয়েছে আমূলের। এই ঘি উৎপাদনে যে দুধ প্রয়োজন তা আসে সংস্থার কালেকশন সেন্টার থেকে। সেখানেই দুধের গুণমানও যাচাই করা হয়। FSSAI-এর নির্ধারিত সমস্ত বিধি মেনে চলে আমূল ইন্ডিয়া। বিগত ৫০ বছর ধরে ভাল ও গুণমানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে গুড উইল তৈরি হয়েছে সংস্থার। ফলে সকলকে এমন গুজব ছড়াতে বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন আমূল ইন্ডিয়া।


ভেজাল ঘি ব্যবহারেই বেড়েছে বিতর্ক


অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু অভিযোগ তোলেন যে পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির আমলেই তিরুপতির মন্দিরে এই ঘিয়ে ভেজালের ঘটনা শুরু হয়েছিল। যদিও জগনমোহন রেড্ডি এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। মন্দির পরিচালক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তদন্তে উঠে এসেছে যে ঘি ব্যবহৃত হত প্রসাদে তাতে পশুর চর্বি এবং পাম তেল মিশ্রিত ছিল।  


আরও পড়ুন: 7th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, শীঘ্রই বাড়বে ডিএ