Twitter Official Badge: ট্যুইটারে (Twitter) অফিশিয়াল লেবেল চালু হবে একথা আগেই ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই অফিশিয়াল ব্যাজ (Official Level) চালু হয়ে গিয়েছে ট্যুইটারে। সেখানে আবার রয়েছে একটি টিক চিহ্নও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাবলিক ফিগার ও মিডিয়া ও খবর সংক্রান্ত অ্যাকাউন্টে এই টিক মার্ক যুক্ত অফিশিয়াল ব্যাজ যুক্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আগের ব্লু টিক ব্যাজও (Twitter Blue Tick) রয়েছে। এই ব্লু টিকের সাহায্যে বোঝা সম্ভব যে ওই অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড কিনা।


আপাতত ট্যুইটারে বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে এই ব্লু টিক নিয়ে। ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে এই ব্লু টিক কেনা যাবে টাকার বিনিময়ে। মাসে খরচ ৮ ডলার। যে কেউ এই ব্লুটিক কিনতে পারবেন ট্যুইটারে। এই নতুন ফিচার ঘোষণার পর থেকেই অ্যাকাউন্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনে। কারণ এতদিন ট্যুইটারে এই ব্লু টিক বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও সবাই পেতেন না। সেইসঙ্গে যাঁকে ব্লু টিক দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড বলে দেওয়া হতো, তাঁর সমস্ত তথ্য ভালভাবে যাচাই করে নেওয়া হতো। তার ফলে অ্যাকাউন্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি এতদিন। তবে এখন টাকা দিয়ে সবাই ব্লু টিক কেনার অপশন পাবেন।


ভারতে নভেম্বর মাসের শেষের মধ্যে টাকা দিয়ে ব্লু টিক কেনার পদ্ধতি চালু হবে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু দেশে তার খরচ কত হবে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও এই ফিচার চালু হবে। তবে এই 'অফিশিয়াল লেবেল' টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। গত ২৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে ইলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তারপর থেকেই একের পর পরিবর্তন হয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। এমনকি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও। ট্যুইটারের আগের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে নতুন সিইও নিজেই হয়েছেন ইলন মাস্ক। বোর্ড অফ ডিরেক্টদের সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও চাকরি গিয়েছে অনেক কর্মীর। শুধু তাই নয় ট্যুইটারের নিয়ম কানুনেও আগামী দিনে একাধিক বদল আসবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ইলন মাস্ক। অন্যদিকে কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা কর্তৃপক্ষও। মেটার বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। প্রায় ১৩ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে মেটা-র কর্মী।


আরও পড়ুন- একসঙ্গে ১১,০০০ কর্মী ছাঁটাই, মেটা নিল এই সিদ্ধান্ত