Volkswagen Virtus 1.0 TSI automatic review: কমপ্যাক্ট এসইউভির বাজারেও নতুন করে নজর কাড়ছে সেডান। স্কোডা স্লাভিয়ার পাশাপাশি দেশের গাড়ি বাজারে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ফক্সওয়াগন ভার্টাস। Volkswagen Virtus। জেনে নিন, পাওয়ারের পাশাপাশি কেমন পারফরম্যান্স দেয় গাড়ি।
Volkswagen Virtus review: মিডসাইজ সেডান সেগমেন্টে সেরা বাজি
ভারতের বাজারে সেডানগুলি হঠাৎ করে ফ্যাশনে ফিরে এসেছে। Volkswagen আগেই পাসাত এবং জেট্টার মতো গাড়ি এনেছে ভারতে।এবার সেই বড় সেডানের জায়গা নিচ্ছে মিড সাইজ সেডান Virtus। যার জন্য SUV-র ক্রেতারাও এই সেডানের দিকে নজর দিচ্ছেন। Virtus সেডান Taigun-এর মতোই ইন্ডিয়ায় ফক্সওয়াগনের 2.0 MQB A0 IN প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
Volkswagen Virtus review: গাড়ির ইঞ্জিন কতটা শক্তিশালী ?
এই সেডানে একটি 1.0l TSI ও একটি 1.5l TSI-সহ দুটি ইঞ্জিন অপশন রয়েছে। আমরা এখানে রিভিউয়ের জন্য 1.0l TSI বেছে নিয়েছি৷ সবার আগে বলা উচিত, Virtus দেখলেই নজর কাড়বে। সব ফক্সওয়াগেন গাড়ির মতো ভার্টাসে মার্জিত ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। এর ডায়নামিক লাইনে 1.0l TSI ইঞ্জিন পাওয়া যায়।
Volkswagen Virtus review: কতটা বড় গাড়ি ?
ডায়নামিক লাইন ট্রিমে 4,561 এমএম দৈর্ঘ্য রয়েছে গাড়িতে, যা এই শ্রেণিতে সবথেকে বড়। Virtus এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে আরও বড় দেখায়। যা চেহারার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। গ্রিলের টুইন ক্রোম লাইনগুলি ডিআরএল সহ এলইডি হেডল্যাম্পের সাথে যুক্ত হয়েছে গাড়িতে। 16 ইঞ্চির অ্যালয়গুলি স্মার্টভাবে ডিজাইন করেছে কোম্পানি। ম্যাট ফিনিশ সহ পিছনের টেল-ল্যাম্প ও ক্লিন কাট লাইনগুলি এই গাড়িকে আরও প্রিমিয়াম লুকিং গাড়িতে পরিণত করে।
Volkswagen Virtus review:ভিতরে কেমন দেখতে গাড়ি ?
আপনি ফক্সওয়াগনের অন্দরসজ্জায় সব সময় মার্জিত নকশা পাবেন। দরজার থাম্প বুঝিয়ে দেয় যাত্রীরা এই গাড়িতে সুরক্ষিত। ডাইনামিক লাইন ডুয়াল টোন লেদার সিট ব্যবহার করা হয়েছে গাড়িতে। ড্যাশবোর্ডে একটি সহজ কার্যকরী লে-আউট দেওয়া হয়েছে। যদিও ড্যাশবোর্ডে সফট টাচ পাবেন না বললেই চলে। এতে 10-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ছাড়াও ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দিয়েছে কোম্পানি। ডিজাইনে মৌলিক কিছু কাস্টমাইজযোগ্য পরিবর্তন করতেই পারেন আপনি। কোম্পানি নিজেই তা ক্রেতাকে দিচ্ছে।
Volkswagen Virtus review: গাড়ির সুরক্ষা ও ফিচার
গাড়ির ইকুইপমেন্ট লিস্টে বড় হাইলাইটগুলি হল এসি ভেন্টিলেটেড সিট, কানেকটেড কার টেকনোলজি, ওয়্যারলেস চার্জিং ও স্মার্টফোন সংযোগ, সানরুফ, একটি 8 স্পিকার অডিও সিস্টেম, অটো ক্লাইমেট কন্ট্রোল, 6টি এয়ারব্যাগ, একটি রেয়ার ভিউ ক্যামেরা ছাড়াও আরও অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে গাড়িতে।
Volkswagen Virtus review: আরামদায়ক যাত্রা গাড়িতে ?
রেয়ার ভিউ ক্যামেরায় আরও ভাল ডিসপ্লে থাকতে পারত। তীব্র গরম থাকা সত্ত্বেও AC খুব দ্রুত কেবিনকে ঠান্ডা করার ক্ষমতা ধরে। এর অডিও সিস্টেমটিও বেশ ভাল। এই বিভাগের দীর্ঘতম হুইলবেস রয়েছে Virtus-এ। ফলে ভাল জায়গার প্রতিশ্রুতি দেয় এই গাড়ি। এখানে আমরা যথেষ্ট বড় উইন্ডো লাইন সহ আরামদায়ক আসন পেয়ে থাকি। এটি একটি আরামদায়ক 5-সিটের নয়। কারণ এতে পিছনের সিটের মাঝে একটা ফ্লোর হাম্প রয়েছে। তবে সেই টানেলটাও খুব একটা বড় নয়। তাই মাঝের যাত্রী পিছনের সিটে বসলে অস্বস্তিকর হবে না। গুরুত্বপূর্ণভাবে আসনগুলি আরামদায়ক ও থাই সাপোর্ট ভাল দিয়েছে কোম্পানি। আর্মরেস্টটিও ঠিক জায়গায় রাখা হয়েছে।
Volkswagen Virtus review: শক্তিশালী ইঞ্জিনের সঙ্গে আরামদায়ক যাত্রা
1.0l TSI Virtus-এ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। এটি একটি পরিচিত টার্বোচার্জড পেট্রল ইঞ্জিন যা 115hp/175Nm শক্তি দেয়। এটি একটি 6 স্পিড ম্যানুয়াল বা একটি 6-স্পিড অটোমেটিক গিয়ারবক্স পায়। 1.0l TSI শুরু থেকেই আমামদায়ক যাত্রা দেবে। এই গিয়ারবক্সটি দ্রুত ওভারটেক করার জন্য খুবই ভাল। আপনি S মোডে যেতে পারেন বা প্যাডেল
শিফটারগুলি ব্যবহার করতে পারেন। এর অটোমেটিকে ল্যাগ অনুভূত হয় না। আমাদের সন্দেহ, ম্যানুয়াল গাড়িটি চালানোর জন্য আরামদায়ক নাও হতে পারে। আমরা ড্রাইভের জন্য শুধুমাত্র সোজা রাস্তা পেয়েছি। গাড়ির রাইড ও সামগ্রিক সাসপেনশন রাফ রোডে নিজেকে প্রমাণ করেছে ও দ্রুত গতিতেও স্থিতিশীল ছিল।
Volkswagen Virtus review: বডি রোল রয়েছে গাড়িতে ?
179 এমএম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এই গাড়িকে একটি SUV-এর মতো খারাপ রাস্তার উপর দিয়ে সহজেই যেতে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়। এই ক্ষেত্রে আপনাকে স্পিড ব্রেকারগুলির বিষয়ে খুব সতর্ক হওয়ার দরকার নেই। গাড়িতে হালকা স্টিয়ারিং হুইল পাবেন। যেকোনও ভক্সওয়াগেনের মতো শার্প মনে হয় এই স্টিয়ারিংকে। 1.0l AT আমাদের সামগ্রিকভাবে 10/12 kmpl দিয়েছে।
পছন্দ - চেহারা, স্পেস, ভাল সরঞ্জাম, রাইড/হ্যান্ডলিং
অপছন্দ - কোনও ডিজেল ইঞ্জিন নেই গাড়িতে, পেছনের ক্যামেরার ডিসপ্লে আরও ভালো হতে পারত
আরও পড়ুন : Tata Nexon EV Max: আরও বেশি পাওয়ার রেঞ্জ, টাটা আনছে নেক্সন ইভি ম্যাক্স